বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে কিশোর মোস্তাকিন হত্যাকাণ্ডের ১১ দিন পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিন (২২)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত রায়হান উদ্দিন কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ সিলেট ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানিক দল সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযানটি পরিচালনা করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদী ফুলবানু বেগমের তৃতীয় ছেলে সজল মিয়া ও আসামি রায়হান উদ্দিন একত্রিতভাবে মোস্তাকিনদের বাড়িতে ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করে। পরে এ নিয়ে সজল মিয়ার সঙ্গে রায়হান উদ্দিনের বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার মাধ্যমে ওয়াইফাই সংযোগের সময় রায়হান উদ্দিনের দেওয়া ৫০০ টাকা ফেরত দেওয়া হয় এবং তাকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করা হয়। কিছুদিন পরে রাত অনুমান ২টার দিকে রায়হান নিহত মোস্তাকিনদের বসতঘরে প্রবেশ করলে মোস্তাকিনের মা ফুলবানু বেগম চিৎকার করেন। পরে সজলুর স্ত্রী তাসলিমা আক্তার দৌড়ে আসে। এ সময় স্থানীয় শফিক মিয়া, ধন মিয়া ও জাকির হোসেনসহ অন্যান্য লোকজন রায়হানকে আটক করেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিনসহ আরও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রায়হানের ব্যাপারে সালিশ করার কথা বলে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর রায়হান মোস্তাকিনের প্রবাসী দুই ভাইয়ের স্ত্রীদের নিয়ে নানা ধরনের অপবাদ রটায়। পরে এ নিয়ে সালিশ-বৈঠক বসলে রায়হানকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে যেতে নিষেধ করা হয়। এ নিয়ে রায়হান মোস্তাকিনের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে মোস্তাকিনদের পরিবারের ক্ষতি করবে বলে রায়হানকে হুমকি দেয় ও এলাকায় প্রচার করে। এ ঘটনার পর রায়হানের চাচা ফজল মিয়াসহ তাদের পরিবারের লোকজনদের বিষয়টি অবগত করে মোস্তাকিনের পরিবার। রায়হানের পরিবার বিষয়টি দেখবে বলে কালক্ষেপণ করে। এর জের ধরে রায়হান উদ্দিনসহ অন্য আসামিরা মোস্তাকিনকে গলা কেটে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ, হবিগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ক্রাইমসিন টিমসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করে।
এদিকে, মামলার এজাহারে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে বাদী দাবি করলেও মোস্তাকিন রায়হানের সঙ্গে এক নারীর প্রেমের বলি হয়েছেন বলে গুঞ্জন এলাকার মানুষের মুখে-মুখে।