বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের ওসমানীনগরে একই রাতে তিন প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদ, লতিবপুর গ্রামের মিজানুর রহমান ও পার্শ্ববর্তী আশিক আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদের হামলায় দুই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন উপজেলার লতিবপুর গ্রামের ছানাওর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০), ছেলে হোসাইন আহমদ (২২) ও মাধবপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৪০)। তাঁদের বালাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে লতিবপুর গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের বাড়ির ঘরের দরজা ভেঙে ১২–১৩ জন ডাকাত ঢুকে মিজানের ছোট ভাই হোসাইন আহমদের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে একটি কক্ষে বেঁধে রাখে। এরপর অপর কক্ষে হোসাইন আহমদের মা আনোয়ারা বেগমকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ছয় ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে।
একই রাতে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদের বাড়িতে সাত–আটজনের একদল ডাকাত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহকর্মী সিরাজ মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তখন মামুন আহমদের ঘরে থাকা ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, যুক্তরাজ্যের পাউন্ডসহ প্রায় এক লাখ টাকা লুটে নেয়। একই সময়ে লতিবপুর গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আশিক মিয়ার বাড়ির কলাপসিবল গেট ও দরজা ভেঙে এক ভরি স্বর্ণালংকার, টাকাসহ কিছু মালামাল লুটে নেয় ডাকাতেরা। এ সময় আশিক মিয়ার পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিলেন না। সকালে গ্রামে ডাকাতি হয়েছে খবর পেয়ে তাঁরা বাড়িতে এসে দেখেন, তাঁদের ঘরের ফটক ও দরজার তালা ভাঙা এবং আলমারিতে থাকা স্বর্ণালংকার নেই।
লতিবপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন। সকালে গ্রামে ডাকাতি হয়েছে শুনে বাড়িতে এসে দেখেন, ঘরের কলাপসিবল গেট ও দরজা খোলা এবং আলমারিতে রাখা স্বর্ণালংকার ও টাকা নেই।
আহত হোসাইন আহমদ বলেন, ‘রাত তিনটার দিকে কেচি গেট ও দরজা ভেঙে ১২-১৩ জন ডাকাত ঘরে ঢুকে আমাদের মারধর করে ৬ ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়। রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে, আমার মাকেও তারা মেরেছে।’
মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদ বলেন, ‘গভীর রাতে সাত-আটজন ডাকাত গেট ও দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, পাউন্ডসহ এক লাখ টাকা লুটে নেয়। এ সময় তারা আঞ্চলিক ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলেছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট তারা আমার ঘরের সব আলমারি ভেঙে তছনছ করে। এরপর আমাদের ঘরে বেঁধে রেখে যায়। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার সময় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার শব্দ শুনতে পাই।’
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’