বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের আলোচিত শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যায় সাবেক গৃহশিক্ষকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হলেন কানাইঘাট সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে শিশু মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), তার মা আলিফজান বিবি (৫৫), পাশের বাড়ির মৃত ছইদুর রহমানের ছেলে ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও মামুনুর রশিদের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫)।
এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় একটি মামলা করেন মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ। সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রোববার (১০ নভেম্বর) ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হলো।
বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন। আজ ভোরের দিকে নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী নালা থেকে পুকুরে ফেলার সময় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
আলিফজান মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক ও মৃত ময়না মিয়ার স্ত্রী। মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলিফজান বিবি (৫৪) ও তার মা কুতুবজান বেগমকে (৭০) আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে রাতে জড়িত সন্দেহে মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটকে রাখা হয়।
এ ঘটনার পর রোববার সকালে আলিফজান বিবির বসতঘরটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা।
এদিকে পুলিশ জানায়, মার্জিয়াকে থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসার পর ভয়ে আলিফজান বিবি বসতঘরের পাশে একটি নর্দমায় শিশু মুনতাহার মরদেহ পুঁতে রাখেন। পরে মরদেহ তুলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পার্শ্ববর্তী আব্দুল ওয়াহিদের পুকুরে ফেলার চেষ্টার সময় আব্দুল ওয়াহিদসহ আরও কয়েকজন হাতেনাতে আলিফজান বিবিকে আটক করেন।