বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হযরত আলী হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গোদাগাওয়ের রওশন আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (৩১), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের তাইকাপন এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (২৯), একই উপজেলার বুরুমপুর গ্রামের ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া (২৯), একই এলাকার হাজি মাসুদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মুন্না (৩০) ও হরমুজ আলীর ছেলে মো. রুহুল আমিন (৩০)।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের মঙ্গলকাটা বাজারের জাহাঙ্গীরনগর এলাকার সাইদ মিয়ার ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হযরত আলী। তিনি সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমা আলমপুর এলাকায় খালেদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থেকে নুরুল ইসলামের অটোরিকশা চালাতেন। ঘটনার দিন ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আসামিরা সিলেটের বিয়ানীবাজার যাওয়ার কথা বলে ভাড়া নেন অটোরিকশা। পথিমধ্যে ছুরিকাঘাত করে চালককে ফেলে অটোরিকশা ছিনিয়ে নিয়ে যান আসামিরা। পরে আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হলে হযরত আলী মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শুকুর আলী বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) বাছিত মিয়া। মামলাটির অভিযোগ গঠনের পর আসামিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় ২৪ জন সাক্ষীর ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
মামলায় বাদীপক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট জায়েদা বেগম এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ। রায়ে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তাঁরা এটিকে একটি যুগান্তকারী রায় বলে উল্লেখ করেন।