Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ সংষ্করণ 2024-09-03T11:57:49Z
বিয়ানীবাজার

বিয়ানীবাজারের চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

বিজ্ঞাপন
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ। ছবি : সংগৃহিত

শহিদুল ইসলাম সাজু, বিয়ানীবাজার : বিয়ানীবাজারের চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জালিয়াতি, নিয়ম বহির্ভূত বিল-ভাউচার তৈরি, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধামকিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নিজে প্রভাব খাটিয়ে অর্থ বিনিময়ে নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের যোগদান বাতিল করে বাগিয়ে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের পদটিও। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এমনকি বিদ্যালয়ের খোঁদ ম্যানেজিং কমিটির মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২২ সালে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী দত্ত অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পান বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রশীদ। প্রধান শিক্ষকের আসনে নিজেকে অধিষ্ঠিত করার পর থেকেই তিনি স্কুলটিকে নিজের দুর্নীতি ও প্রভাবশালী ধৃষ্টতার রাজত্বে পরিণত করেছেন।

এডহক কমিটি থাকাকালীন বড় অংকের অর্থ আত্মসাৎ : বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান থাকাবস্থায় ২০২২ সালে গঠিত তৎকালীন এডহক কমিটি থাকাকালীন টানা ৬ মাসে প্রায় সাড়ে ১৬ লক্ষাধিক টাকার ব্যয়ের হিসাব এখনো অনুমোদন পায়নি। এডহক কমিটির সভাপতি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যরা ব্যয়ের হিসাবে গড়মিল ও যথাযথ রশিদ না থাকায় সেই বিলটি অনুমোদন দেননি। উল্লেখ্য যে, সেই সময়টাতে বিদ্যালয়ের আয়ের পরিধিও ছিল বড়। আয় ছিল প্রায় সাড়ে ১৭ লক্ষাধিক টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ নিজের প্রভাব বিস্তার করে কমিটির কয়েকজন সদস্য ও অফিস সহকারীকে ম্যানেজ করে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সে কারণে এডহক কমিটি সেই ব্যয়ের বিলটি অনুমোদন করেননি। এমনকি সেই কমিটির সভাপতি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম স্থানান্তর হয়ে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে একাধিকবার সেখানে ধর্ণা দিয়েও বিশাল এই বিলটির অনুমোদন করাতে পারেননি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ।

বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য খালেদুর রহমান ও এজাহারুল ইসলাম বাচ্চুর কাছে সেই বিলটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, এ ব্যাপারে আমাদের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির কেউই অবগত নন। তবে আমরা বিভিন্নভাবে বিষয়টি জেনেছি। যেহেতু এটি আমাদের দায়িত্বকালীন সময়ে নয়, সেহেতু এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই। তবুও আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।

বিশাল এই বিলের বেশিরভাগ বিল-ভাউচারই জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা কিনা জানতে চাইলে তারা খালেদুর রহমান জানান, আমি এগুলো দেখিনি। তাই এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না। অন্যদিকে এজাহারুল ইসলাম বাচ্চু জানান, আমি আগে দেখিনি বা জানতাম না। গত বুধবারই বিষয়টি প্রথম দেখেছি এবং জেনেছি। 

পরীক্ষার খাতা দেখার নামে শিক্ষার্থীদের কাছে চাঁদা দাবি : সম্প্রতি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী সকল শিক্ষকই শিক্ষার্থীদেরকে গণিত ব্যতিত সবকটি বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার খাতা দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। গণিতের খাতা দেখার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে কাছে ১০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক। ক্লাসে তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, 'খাতা দেখতে ইচ্ছুক যারা, তারা সকলে ১০০ টাকা করে ফি দিতে হবে'। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের দু'জন ছাত্রী জানান, 'আমাদের কাছে খাতা দেখার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে অফিসে আবেদন করার কথা খোঁদ প্রধান শিক্ষকই বলেছেন।' তারা জানান, 'অন্য শিক্ষকরায়া খাতা দেখার জন্য টাকা দাবি করেননি। তাছাড়া টাকা দিয়ে খাতা দেখতে হবে- এমনটা কখনো শুনিনি।' 

স্কুল বন্ধ, কিন্তু ভুয়া বিল-ভাউচারে অর্থ আত্মসাৎ: চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ২০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। কিন্তু কাকতালীয়ভাবে সেই সময়টাতে চারখাই উচ্চ বিদ্যালয় খোলা ছিল। কেননা, সেই ১৬ দিনে বিদ্যালয়টিতে ৫৪ হাজার টাকা বিল-ভাউচার দেখানো হয়েছে। তন্মধ্যে অধিকাংশ বিল-ভাউচারের সত্যতা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেগ ঘটেছে। 

সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, স্কুলের বন্ধের সুবাধে প্রতি সপ্তাহের ৪/৫ দিন অফিস করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ৷ একই সময়ে তাকে অফিসে সহযোগিতা করেছেন অফিস সহকারী সামাদ আহমদ। 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদের কাছে বন্ধ ১৬ দিনের বিলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এবং অফিস সহকারী সামাদ আহমদ এ প্রতিবেদককে ৩ হাজার ২শ ৫ টাকার ভাউচার দেখান। এসব ভাউচারের বেশিরভাগে নেই কোন প্রতিষ্ঠানের নাম কিংবা সিল-স্বাক্ষর।

প্রভাব খাটিয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বানচাল : গত ১৪ জুলাই ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রস্তাব সিদ্ধান্ত (৬) হিসাবে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে বিদ্যালয় তহবিল থেকে ২০ হাজার টাকা সম্মানি নির্ধারণ করে যথাযথ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলা শামসুল ইসলাম নির্বাচিত হন এবং ৫ আগস্টের মধ্যে বিদ্যালয়ে যোগদান করতে হবে মর্মে নিয়োগপত্র ওই শিক্ষকের ঠিকানায় প্রেরণ করা হয়।  কিন্তু অদৃশ্য কারণে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি। অভিযোগ রয়েছে, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ নিজের আসন ধরে রাখতে বড় অঙ্কের অর্থ (প্রায় লাখ খানেক পরিমাণ) লেনদেনের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে বিদ্যালয়ে যোগদানে বাঁধা দেন৷ এমনকি তাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। উল্লেখ্য, সেই সময়টাতে একটি এনজিও সংস্থার স্থানীয় শাখা থেকে লক্ষাধিক টাকা ঋণ উত্তোলন করেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। 

বিদ্যালয়ের অফিস থেকে নবনিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোন নম্বরে সংগ্রহ করে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাঁধাগ্রস্থ হয়ে যোগদান না করার বিষয়টি স্বীকার করেন৷ তিনি জানান, ম্যানেজিং কমিটি আমাকে প্রথমে ১৫ হাজার টাকার প্রস্তাব দিলেও আমার চাহিদানুসারে ২০ হাজার টাকা মাসিক সম্মানি চুক্তিতে আমি সেখানে যোগদানের প্রস্তুতি গ্রহণ করি। কিন্তু বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক তাকে যোগদানে নিরুৎসাহিত করেন। তবে আমি কোন অর্থ গ্রহণ করিনি। 

নিয়ম বহির্ভূতভাবে ডিজিটাল প্রজেক্টর বিক্রির অভিযোগ : ২০১৮ সালের পর থেকে বিদ্যালয়ের স্টক রেজিস্ট্রার আপডেট করা হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের স্টকে থাকা তিনটি প্রজেক্টেরের মধ্যে তসিবা ব্রান্ডের একটি প্রজেক্ট নিখোঁজ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, স্টক রেজিস্ট্রার আপডেট না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশল চালিয়ে গোপনে প্রজেক্টরটি অন্যত্র বিক্রি করে ফেলেছেন। প্রধান শিক্ষক হারিয়ে ফেলেছেন দাবি করলেও বিষয়টি নিয়ে থানায় কোন জিডি করা হয়নি৷  

নিখোঁজ হওয়া প্রজেক্টর বিষয়ে অফিস সহকারী সামাদ আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি প্রজেক্টরটি পূর্বে দেখেছি। তবে বর্তমানে এটি পাওয়া যাচ্ছে না। 

বাধ্যতামূলক কোচিং বানিজ্য : বিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে কোচিং করাতেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদ। তিনি প্রকাশ্যে শ্রেণী কক্ষে অন্য শিক্ষকদের সামনেই ঘোষণা দিয়েছেন, 'কোচিং না করলে এসএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ও এডমিট কার্ড পাবে না।' শুধু তাই, ওই কোচিংয়ে তিনি নিজেই গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান পাঠদান করেন। টানা দু'মাসের কোচিং শেষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ফিও আদা করেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কোচিংয়ের ফি দিতে না পারলে সকল শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড় করিয়ে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন রশীদ স্যার। লজ্জায় অনেক শিক্ষার্থী পরের দুই-চারদিন ক্লাসেই আসে না।

এদিকে, বিস্তর এসব নানা অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এগুলোর বেশিরভাগেরই সত্যতা পাওয়া যায়। তবে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের মধ্যেই অনেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চাপে তটস্থ থাকায় মুখ খুলতে রাজি হননি। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক জানান, 'রাতের পর যেমন সূর্য উঠে দিনের শুরু হয়- এটি যেমন সত্য, তেমনি আব্দুর রশীদ স্যারের বিরুদ্ধে উঠা এসব অভিযোগও সত্য।' 

অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশীদের সাথে অভিযোগগুলো নিয়ে সরাসরি কথা তিনি বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি কোন অন্যায় করিনি। 

২০২২ সালের এডহক কমিটির টানা ৬ মাসের বিল অনুমোদন হয়নি কেন জানতে চাইলে আব্দুর রশীদ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম অনুমোদন দেননি বলে জানান। তিনি সেসময় ইউএনও হিসেবে এডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি কেন স্বাক্ষর দিচ্ছেন না জানতে চাইলে কিছুক্ষণ নীরব থাকার পর আব্দুর রশীদ বলেন, আমি একাধিকবার যোগাযোগ করেছি, এসব বিষয়ে কথা বলতে একবার তার বর্তমান কর্মস্থলেও গিয়ে। কিন্তু তিনি বিল-ভাউচারগুলো সঠিক হলেই কেবল স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন। 

স্কুল বন্ধকালীন অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ব্যয় খরচ কিভাবে সম্ভব জানতে চাইলে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি আব্দুর রশীদ। তবে খাতা দেখার জন্য চাঁদা দাবি ও বাধ্যতামূলক কোচিং করানোর বিষয়টি তিনি করেননি বলে জানান। হারিয়ে যাওয়া প্রজেক্টর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না দাবি করেন। তিনি বলেন, 'আগের প্রধান শিক্ষক স্বপ্না রাণী দত্ত ভালো বলতে পারবেন।' 

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিদ্যালয়ের সম্প্রতি বিলুপ্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমদ আলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কথা হয় খালেদুর রহমান ও এজাহারুল ইসলাম বাচ্ছু নামে দু'জন অভিভাবক সদস্যের সাথে। তারা জানান, এসবের কিছুই আমরা জানি না। 

বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা মৌলদুর রহমান বলেন, শিক্ষক নিয়োগ বানচাল, চাঁদা দাবি ও বাধ্যতামূলক কোচিং বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের কোন বিল-ভাউচার দেখার কিংবা অনুমোদন দেয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। 

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, এসব বিষয়ের কোন কিছুই আমার জানা নেই। এমনকি কেউ কোন অভিযোগও জানায়নি। তবে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। 

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ