বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সংসদ সদস্য কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ৪৪টি বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দিয়েছে শুল্ক বিভাগ। যারা গাড়িগুলো আমদানি করেছিলেন তারা আর সংসদ সদস্য না থাকায় এগুলো আটকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রণজিৎ সরকার ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. সাদিকের গাড়ি। অন্যদের সাথে তাদের তিনজনের কোটি টাকা মূল্যের গাড়িও নিলামে উঠতে যাচ্ছে।
সাবেক সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে, ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এলসি স্টেশন, মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের। এসব গাড়ির প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। অথচ শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণে এসব গাড়ি শুধু আমদানি মূল্যেই (প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা) এনেছিলেন তারা।
জাপান ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি গাড়িগুলো সরবরাহ নেওয়ার আগেই সংসদ বিলুপ্ত করায় এখন আর শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি নেওয়ার সুযোগ নেই। শুল্ক দিতে গেলে প্রতিটি গাড়ির শুল্ক আসবে ৮ কোটি টাকার ওপর।
সিলেট বিভাগের তিন সাবেক সংসদ সদস্য ছাড়াও শুল্কমুক্ত সুবিধায় দেশের অন্য যেসব জনপ্রতিনিধি গাড়ি আমদানি করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, নেত্রকোনার সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সংসদ সদস্য এস এ কে একরামুজ্জামান, ফয়জুর রহমান, সিরাজগঞ্জের চয়ন ইসলাম, জান্নাত আরা হেনরি, নাটোরের আবুল কালাম, সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, বগুড়ার মজিবুর রহমান মঞ্জু, রেজাউল করিম তানসেন, টাঙ্গাইলের অনুপম শাহজাহান জয়, গাইবান্ধার আবুল কালাম আজাদ, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (যিনি নির্বাচনের আগে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন), যশোরের নওয়াব আলী জোয়ার্দার, ঝিনাইদহের নাসের শাহরিয়ার জাহিদি, লক্ষ্মীপুরের মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও দিনাজপুরের মুহাম্মদ জাকারিয়া।