Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ সংষ্করণ 2024-09-15T12:06:15Z
লিড নিউজসিলেট

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের টার্গেট সিলেট সীমান্ত, ওপারে যেতে চান যে কোন মূল্যে !

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। সরকার পরিবর্তন ও শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সংসদ-সদস্য, মন্ত্রী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর গুলিতে বর্ষণ ও নিহতের ঘটনায় সারাদেশে তাদের নামে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এর ফলে আটক এড়াতে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

জনরোষ থেকে প্রাণ ও গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা আকাশ, জল ও স্থলপথে ভারতে পালাচ্ছেন। পালাতে গিয়ে সিলেটের সীমান্ত এলাকায় অনেকে আটক হচ্ছেন। আর তাদের ভারতে পালাতে সহযোগিতা করতে সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় গড়ে উঠেছে অনেক পাচারকারী চক্র। এসব চক্র মোটা টাকা আর বিপুল সোনার গহনার বিনিময়ে তাদের ভারতে পালাতে সাহায্য করছেন। অনেকে নিরাপদে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যেতে পারলেও সাবেক বিচারপতি মানিকের মত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে হারাচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।

এদিকে জানা গেছে, জনরোষ থেকে প্রাণ ও গ্রেপ্তার এড়াতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনো সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলোর বিভিন্ন হোটেল রিসোর্টে অবস্থান করছেন। তারা সুযোগ পেলেই যেকোনো মূল্যে পাড়ি দিতে চান সীমান্ত। গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একটি অভিজাত হোটেল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রভাবশালী কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা বিএম সিরাজুল ইসলামকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে হোটেল থেকে তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করছিলেন।

এছাড়াও, গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বড়গ্রাম সীমান্ত থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মো. ওবায়দুল হক (৩৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। এসময় তাকে সযোগিতাকারী স্থানীয় দুজনকেও আটক করা হয়। পরে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে আদালতের নির্দেশে এ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও সিলেট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট রণজিৎ সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও বিধান কুমার সাহা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সিলেট সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করেন। যাদের অধিকাংশ এখন যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের এসব নেতাকর্মীদের সীমান্ত পারাপারের জন্য কাজ করে গরু ও চিনি চোরাচালানের সাথে জড়িত সীমান্তের দুইপাড়ের চোরাকারবারীরা। অবৈধ পথে ভারতে তাদের পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

সৌজন্যে : দৈনিক ইনকিলাব 


বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ