বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট ও সুনামগঞ্জের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ছয়জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ও বিকেলে পৃথক সময়ে সিলেটের জৈন্তাপুরে পৃথক বজ্রপাতে দুইজন, কানাইঘাটে দুইজন, গোয়াইনঘাটে একজন ও সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে একজন নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, তীব্র খরতাপের পর শনিবার দুপুরে জৈন্তাপুর উপজেলায় আকস্মিক ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে পৃথক স্থানে দুজন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন জৈন্তাপুর ইউনিয়নের আগফৌদ গ্রামের নূরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৩) ও একই ইউনিয়নের ভিত্রিখেল ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান মনই (৪৫)। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পৃথক স্থানে এ বজ্রপাত হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে নিহতদের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে।
এদিকে, কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন কালা মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেওটিহাওর গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। অপরজন পৌরসভার বাসিন্দা দলইমাটি গ্রামের নুর উদ্দিন (৬০) বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি জানান, শনিবার বিকেল ৪টার সময় কানাইঘাটের পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজন মারা গেছে। দুজনের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুর পৌনে একটায় বজ্রপাতে ভিত্রিখেল হাওর গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী রুকসানা বেগম (৪৭) বজ্রপাতে অজ্ঞান হন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় বজ্রপাতে আহত হন নিয়াগোল গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ইসমাইল আলী (১৮)। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখার কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি শুনেছি, খবর নেয়া হচ্ছে। এসময় ঝড়ে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটে বাঁশ ও গাছপালা উপড়ে পড়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দ্বীন ইসলাম (৬৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত সলতু মিয়ার ছেলে। শনিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর চরপারা গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে চারা ক্ষেতে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত সলতু মিয়ার ছেলে।
ইউনিয়ন সদস্য কালাম হোসেন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির সামনে চারা ক্ষেতে তিনি লাকড়ি শুকাতে দিয়েছিলেন। দুপুরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসলে তিনি লাকড়িগুলো আনতে গেলে ঝড়ের সাথে বজ্রপাত শুরু হয়। হঠাৎ করেই বজ্রপাত শরীরে পড়লে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বজ্রপাতে নিহত কৃষককে আর্থিক সহায়তা করা হবে।