বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : অতি শীঘ্রই চূড়ান্ত ডাক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। শুক্রবার (২ আগস্ট) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘খুলনা, সিলেট, ঢাকায় পুলিশ আমার ভাইদের উপর আবারও গুলি চালিয়েছে, আমরা অতি শীঘ্রই চূড়ান্ত ডাক দিচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণমিছিল কর্মসূচি ছিল। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই মিছিলকে ঘিরে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীতেও গণমিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গণমিছিল বের করা হয়। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ একাত্মতা জানিয়ে যোগ দেন।
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দেখা যায়। মিছিলটি কাঁটাবন হয়ে আবার সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা সেখানে তাদের দাবি আদায়ের পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের কর্মীরা প্রথমে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারমুখী হন
একই সময় রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম থেকে একটি গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি হাইকোর্ট-প্রেস ক্লাব হয়ে শাহবাগের দিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়।
একই সময় মিরপুরের ইসিবি চত্বরে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল শুরু হয়। সেখানে বিপুল পুলিশ মোতায়েন ছিল। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনা করতেও দেখা যায়।
এ ছাড়া জুমার নামাজের আগেই ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এরপর হয় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ। বৃষ্টির মধ্যেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে সমাবেশ করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের বক্তব্যে ছাত্ররা ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।