বিজ্ঞাপন
স্টাফ রিপোর্ট : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত গৌছ উদ্দিন হত্যা মামলার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার (২৩আগস্ট) এই হত্যা মামলাটি গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা রেজাউল করিম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং -০৮/১৩৬, ২৩-০৮-২০২৪ইংরেজি।
এ মামলার এজহাতে সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামী করে সাবেক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ১৩৪জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো অজ্ঞাত ২০০/২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলাটি দুই তিন আগে থানায় রেকর্ড হলেও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেননি। তিনি শনিবার বিকেল ৫টা ৫০মিনিটেও সাংবাদিকদের জানান, তিনি থানায় একটি এজহার পেয়েছেন তবে মামলা রেকর্ড হয়নি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে মামলার বিষয়ে শনিবার নিহত গৌছ উদ্দিনের ভাই আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানান, আমার ভাতিজা রেজাউল করিমের স্বাক্ষর জাল করে কে বা কারা গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন। আমরা ভাতিজা এই মামলাটি দায়ের করেনি। সে থানায়ও মামলা দায়েরের সময় যায়নি। আমরা কোন নিরপরাধ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করতে চাইনা আমরা প্রকৃত আসামীদের শাস্তি চাই।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাতিজা ছোট মানুষ। সে হত্যা মামলা কিভাবে চালাবে। আমার ভাতিজা রেজাউল করিম এই মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আদলতে আবেদন করবে বলেও জানান তিনি।
জাল স্বাক্ষরে মামলা দায়েররে ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বলেন, বাদী অভিযোগের এজহার দায়েরের সময় থানায় উপস্থিত হয়নি তবে বাদীর আইডি কার্ডের স্বাক্ষর দেখে এটা যে বাদীর স্বাক্ষর তা নিশ্চিত হয়েছি।
উল্লেখ্য, হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন (৪ আগস্ট) গোলাপগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘোষগাও গ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন সহ ৬জন নিহত হন। এছাড়াও সিলেটে পুলিশেত গুলিতে গোলাপগঞ্জের আরেকজন নিহত হন।