বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৪০) এর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৮আগস্ট) নিহত তাজের স্ত্রী মোছা: রুলী বেগম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৪/১৪০ ।
মামলার এজহারে সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
এছাড়াও গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব সহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ টি হত্যা মামলা থানায় রেকর্ড হয়েছে।
বিষয়টি জি ভয়েস টোয়েন্টিফোরকে নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের।
উল্লেখ্য, হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন গত (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশ-বিজিবি ও ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়। ওইদিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি অভিজিৎ চৌধুরীর উপস্থিতিতে পুলিশ, বিজিবি ও সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪০)। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে দুই কন্যা সন্তানের জনক তাজ উদ্দিন ছিলেন সবার বড়। গোলাপগঞ্জে তাজ উদ্দিন সহ ৬জন নিহত হন। এছাড়াও সিলেটে পুলিশেত গুলিতে গোলাপগঞ্জের আরেকজন নিহত হন।