Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
সর্বশেষ সংষ্করণ 2024-08-03T12:26:26Z
জাতীয়

সরকারের সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান আন্দোলনকারীদের

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে হতাহত-সহিংসতায় অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতির সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে রাজি আছে বলে জানিয়েছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। তবে আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা। 

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সরকারের কাছে বিচার চাওয়া বা সংলাপে বসারও সুযোগ আর নেই।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন নাহিদ। তার পোস্টটি নিজের টাইম লাইনে শেয়ার করেছেন আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদ। আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে পোস্ট করেছেন আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদও।

নাহিদ ইসলাম তার পোস্টে লিখেছেন, ১৯ জুলাই কারফিউ ভঙ্গ করে শাটডাউন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। সেই বক্তব্য কোনও মিডিয়ায় প্রচার করতে দেওয়া হয় নাই। সে রাতে নাহিদকে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয় এ ঘোষণার জন্য এবং আন্দোলন প্রত্যাহার ও সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য জবরদস্তি করা হয়।

ছাত্রজনতা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিল দাবি করে নাহিদ বলেন, সরকার দমন-পীড়ন করে সেটিকে সংঘাত ও সহিংসতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। ... পরবর্তীতে ডিবি অফিস থেকেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমাদের অনশন ও রাজপথে আন্দোলনের কারণে সে পরিকল্পনা সফল হয়নি।

শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চান উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,আমরা কোনও সহিংসতা, প্রতিহিংসা ও প্রাণনাশ চাই না। নিরাপত্তা বাহিনীকেও এর জন্য সহযোগিতা করতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের রাজপথে দেখা গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এর দায়ভার নিতে হবে। তবে রক্ত ঝড়লে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আমরা ন্যায়বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। কোনো ধরনের দমন-পীড়ন, প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্র করে এ আন্দোলন থামানো যাবে না।

জরুরি অবস্থা বা কারফিউ ছাত্র-নাগরিক মেনে নেবে না বলে ঘোষণা দিয়ে নাহিদ বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি চাইলে গুলি ও হামলা করার নির্দেশ বন্ধ করতে হবে। অসহযোগ আন্দোলনের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। খুনি সরকারের কাছে বিচার চাওয়া বা সংলাপে বসারও সুযোগ আর নেই। ক্ষমা চাওয়ার সময়ও পার হয়ে গেছে। যখন সময় ছিল তখন সরকার ব্লক রেইড দিয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করেছে, নির্যাতন করেছে। আখতার হোসেন, আরিফ সোহেলসহ রাজবন্দীদের কারাগারে রেখে আমরা কোনো ধরনের সমঝোতায় যাবো না।

আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লেখেন, খুনি সরকারের সঙ্গে কোনও প্রকার সংলাপে বসতে আমরা রাজি নই, সেখানে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ