বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : জুলাইয়ের ১৬ তারিখকে ‘শহিদ আবু সাঈদ দিবস’, ১৯ তারিখকে ‘কালো শুক্রবার’ এবং আগস্টের ৫ তারিখকে ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে ছাত্রপক্ষ। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেন ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স।
এ সময় সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝরের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব হাসিবুর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক ফজলে এলাহী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আকিব হাসান, সহকারী সদস্য সচিব সারাফ আনজুম বিভা, সহকারী সদস্য সচিব নিশাত রহমান খান, সহকারী অর্থ সম্পাদক তানজিনা জুই, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য রফিকুল ইসলাম, ইশরাত জাহান ইশা, জুবায়ের হাসিব প্রমুখ।
মুহাম্মদ প্রিন্স বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে বাংলাদেশের মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এ দেশের ইতিহাস রয়েছে ছাত্ররা স্বীয় অধিকারের জন্য বারবার রাজপথে নেমে আসে। সর্বশেষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরকারের নিপীড়নের কারণে তা সরকার পতনের ১ দফা আন্দোলনে রূপ নেয়। গত ১৬ জুলাই রংপুরে শহিদ আবু সাঈদের বুকে বিনা উসকানিতে পুলিশের গুলি ও ১৯ জুলাই থেকে সারা দেশে ছাত্র-জনতার উপর ধারাবাহিক গণহত্যা চালানোয় ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনগণ। এজন্য জুলাইয়ের ১৬ তারিখকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’, ১৯ তারিখকে ‘কালো শুক্রবার’ হিসেবে ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম সরকারি চাকরিতে বৈষম্য দূর করার কিন্তু তারা বৈষম্য দূর করার বদলে ছাত্রদের বুক গুলি করে ঝাঁঝরা করেছে, সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। ছাত্রপক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও কারাগারে বন্দি অবস্থায় দিন কাটিয়েছে। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ একবার স্বাধীন হয়েছিল কিন্তু জনগণ সে স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের তিন মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিকশিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর সরকারগুলোর দুর্নীতি বাংলাদেশেকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য পৌঁছতে দেয়নি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মালিকানা তার নাগরিকদের হাতে গেছে। তাই এই দিনকে ছাত্রপক্ষ ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করছে।
আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জনগণ আপনাদের উপরে আস্থা রেখেছে তাই এই ঘুণে ধরা রাষ্ট্র মেরামতে আপনাদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। একইসঙ্গে আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বদলে দ্রুত ছাত্র সংসদ কার্যকরের আহ্বান জানাচ্ছি। নতুন সরকারের কাছে জনগণের অনেক চাওয়া-পাওয়া রয়েছে। সরকার তা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- অর্পিরা শিরিন স্বর্ণা, রিদওয়ান তাহমিদ, হৃদয় আহমেদ সানী, আলিফ আব্দুল্লাহ, খালিদ হাসান, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।