বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সীমান্ত এলাকার গ্রাম পশ্চিম জাফলং। বসতঘরের পাশে চোরাই চিনি মজুত করে ‘গোডাউন’ বানানো হয়েছিল। সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের একটি দল দুটো বসতঘরের ‘গোডাউনে’ অভিযান চালিয়ে ৩৮৭ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করেছে।
গত রবিবার (১৪ জুলাই) রাতে গোয়াইনঘাট থানার এসআই আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এ অভিযান চালায়।
প্রায় ১৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার চোরাই চিনির সঙ্গে একটি ‘গোডাউন’-এর মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবরের কাগজের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
রাত্রিকালীন পৃথক আরও দুটি অভিযানে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জব্দ করেছে ৪৮০ বস্তা চোরাই চিনি। জকিগঞ্জ থানা পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে ৫৮ বস্তা চোরাই চিনিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সব মিলিয়ে দুই রাতে পৃথক তিনটি অভিযানে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করে জব্দ করা হয়েছে ৯২৫ বস্তা চোরাই চিনি। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী জব্দ করা চিনির মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।
গোয়াইনঘাট থানা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রতাপপুর এলাকায় আমানউল্লাহ (২২) নামে এক ব্যক্তি তার বসতঘরের পাশে চোরাই চিনি মজুত করে দুটো ‘গোডাউন’ বানান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের রাত্রিকালীন টহল দল দক্ষিণ প্রতাপপুরের আমানউল্লাহর বসতঘর থেকে ৯৮ বস্তা, একই এলাকার গণি মিয়ার বসতঘর থেকে ২৮৯ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে জব্দ করে। গোয়াইনঘাট থানার এসআই মো. আজিজুর রহমান জানান, এ সময় আমানউল্লাহকে (২২) আটক করা হয়।
এর আগে গত ১০ জুলাই সিলেটের সীমান্ত উপজেলা কানাইঘাটে চোরাকারবারির ‘গোডাউন’ চিহ্নিত এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়েছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ। চোরাকারবারিদের বাধা উপেক্ষা করে দুই দফায় দুটি অভিযানে ১ হাজার ১৬১ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ করা হয়েছিল।
পশ্চিম জাফলংয়ে চোরাই চিনির গোডাউন চিহ্নিত এলাকায় অভিযান অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, এ মামলায় আটক আমানউল্লাহকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জকিগঞ্জ থানার এসআই সামসুল হক সুমনের নেতৃত্বাধীন পুলিশের রাত্রিকালীন টহলের সময় সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে জকিগঞ্জ থানাধীন বারহাল ইউনিয়নের অন্তর্গত জকিগঞ্জ টু সিলেটগামী নিজগ্রাম গেটে চেকপোস্ট বসানো হয়। চোরাই চিনিসহ একটি ডিআই পিকআপ চেকপোস্টে ধরা পড়ে।
এ সময় মুসলিমউদ্দিন (২২), জসীমউদ্দিন (৩৮) ও আক্তারউদ্দিন (২৪) নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে ৫৮ বস্তা চোরাই চিনি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার মিডিয়া অফিসার এসআই মফিদুল হক সজল জানান, এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় করা মামলায় আটক তিনজনকে চোরাকারবারি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৩ জুলাই রাতে জৈন্তাপুর থানাধীন চিকনাগুল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চিনিভর্তি দুটি ট্রাক আটক করা হয়। ট্রাক দুটি তল্লাশিকালে মোট ৪৮০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় জৈন্তাপুর থানায় একটি মামলা করে জব্দ চিনি থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
সৌজন্যে : খবরের কাগজ