বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ী আতাউর রহমান জুয়েলের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ আতাউর রহমান জুয়েল নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি.আর-২১৪।
মামলার আসামীরা হলেন - গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৩নং ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজমল হোসেন মনির ছেলে রাজ আহমদ, একই গ্রামের মৃত ইউসুফ আলী (শিন্নি) ছেলে ইউপি সদস্য আজমল হোসেন মনি ও আজির উদ্দিন, ফয়েজ আহমদের ছেলে তানজিদ আহমদ, কয়েছ আহমদের ছেলে কাইয়ুম, আসকর আলীর ছেলে জিসান আহমদ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, আতাউর রহমান জুয়েল বইটিকর বাজারের মেসার্স ভাই ভাই স্টোন ক্রাশার নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা। গত ২০ জুন ব্যবসায়ীক কোম্পানির টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাহির হলে পতিমধ্যে ফুলবাড়ি ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজমল হোসেন মনি সহ- আসামিরা গতিরোধ করে দা, রড, লাঠিসোঁটা দিয়ে এই ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে তার সাথে থাকা সিমেন্ট কোম্পানির ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৯ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ব্যবসায়ী মাটিতে পড়ে থাকলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বাদীর শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাৎক্ষনিক বাদীকে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, আজমল হোসেন মনি ইউপি সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ার সুবাদে এলাকায় অতিরিক্ত ক্ষমতার দাপট দেখান। এমপি মন্ত্রীর এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সে বিভিন্ন নিরীহ ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এবং চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করেন। তার বিরুদ্ধে পূর্বে অস্ত্র মামলা ও জাল টাকার মামলা সহ একাধিক মামলা ছিল। তাঁর ভাই আজমান হোসেন একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি বর্তমানে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আজমল হোসেন মনির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় আমি কিছু জানি না।