বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের গোলাপগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী কর্তৃক গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন, বিশিষ্ট সমাজসেবী জাহাঙ্গীর আলম, গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহেল আহমদ ও শাকিল আহমদ চৌধুরী সহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ও প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টায় রানাপিং বাজারে সদর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক শতাধিক মানুষ প্লে কার্ড সহকারে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ জিলু।
সভায় বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, ইউপি সদস্য মাওলানা মাহফুজুর রহমান কাশিমী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইকুজ্জামান চৌধুরী শিমু, সাঈদ আহমদ, এহিয়া আহমদ সুমন, আলী আকবর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, রেজওয়ান আহমেদ রিজু, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, গত ৮মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে ভোট শুরুর ৬ ঘন্টা আগে পৌর এলাকার ফুলবাড়ির ২নং ওয়ার্ডে একটি মিথ্যা পরিকল্পিত নাটক সাজান। এই নাটক করে প্রথমে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ তার এই অভিযোগ গ্রহণ না করলে তিনি আদালতে নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে মামলাটি দায়ের করেছেন। এই পরাজিত প্রার্থী সদর ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য ইসমাঈল আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহেল আহমদ ও শাকিল আহমদ চৌধুরী সহ ৯জন নেতাকর্মীকে আসামী করেন। যা দেখে সদর ইউনিয়নের মানুষ মর্মাহত হয়েছেন।
তিনি মূলত পরাজিত হয়ে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যি এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই আপনারা সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে এই মিথ্যা মামলা থেকে আওয়ামী লীগের নিবেদিত নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দিন। তা না হলে সদর ইউনিয়ন সহ গোলাপগঞ্জবাসী যে আন্দোলন গড়ে তুলবে তা পরবর্তীতে সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে।