বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে গোয়াইনঘাট উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে পরোয়ানাভুক্ত ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময় তাদের কাছ থেকে একটি চুরির মামলার সাড়ে ৭ আনা ওজনের স্বর্নালংকার, তিনটি মোবাইল ফোন, ১৪ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। দশ জন আসামির মধ্যে দুইজন সাজা প্রাপ্ত ও ছয় জন পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
শুক্তবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় গোয়াইনঘাট থানার মিডিয়া অফিসার এসআই জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট জেলার অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ, সিলেট নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া জেলার সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, ভিকটিম উদ্ধার, মাদক, খুন, ধর্ষণ, চোরাচালান, পরোয়ানাভূক্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে জেলা পুলিশ, সিলেট সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের সার্বিক দিক নির্দেশনায় থানা এলাকা সহ নেত্রকোণা জেলায় অভিযান পরিচালনা করে গোয়াইনঘাট থানার মামলা নং-১৯ (১২) ২৩ এর চোরাই যাওয়া ৭.৫ আনা ওজনের র্স্বণালংকার ও ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ উক্ত মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোর্সালিন (২২), পিতা- গিয়াস উদ্দিন, থানা- গোয়াইনঘাট, জেলা-সিলেটকে গ্রেফতার করা হয়।
তাছাড়াও অত্র থানার বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে গোয়াইনঘাট থানাধীন ৫নং পূর্ব আলীরগাঁও ইউপি এলাকা থেকে ১৪ চৌদ্দ লিটার চোলাই মদসহ আসামী সবির উদ্দিন (২৭)কে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় ১টি মাদক মামলা রুজু করা হয়।
এছাড়াও ২ জন সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন, পিতা-মোহাম্মদ আলী, স্থায়ী: গ্রাম- উপর সাতাইন, সালমান আহমদ, পিতা-মোঃ আব্দুল বাড়ী, গ্রামনিহাইন এবং সাধারণ পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ ইমরান আহমদ (৪০), পিতা-সমছুল ইসলাম, স্থায়ী: গ্রাম- লাবু, ইউসুফ মিয়া (৩৭), পিতা-মৃত সুরুজ মিয়া, উভয় স্থায়ী: গ্রাম- ছৈলাখেল ৮ম খন্ড, নজরুল ইসলাম (৩৫), পিতা-মৃত হিরন মিয়া, দোলাল আহমদ (৪৫), পিতা- মৃত ইসলাম উদ্দিন, সাং-হাদারপাড়, নুরুল হক, পিতা- মোঃ আসকর আলী, শাহেরা খানম, পিতা- তাহির আলী, উভয় সাং-লাকি, সর্ব থানা- গোয়াইনঘাট, জেলা- সিলেট। তাদের গ্রেফতার পূর্ব বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জিভি/এন