বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ওয়াজ মাহফিলের চাঁদা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অনন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের সৌলরী এতিমখানা ও হাফিজিয়া মাদ্রসার মসজিদ মাঠে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একপক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘঠনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ইসলাম উদ্দিন (৫৫), জাহাঙ্গীর মিয়া (২৮), মোজাহিদ মিয়া (২৪), সানি মিয়া (২২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সৌলরী গ্রামের প্রবাসী নজরুল মিয়া এবং মিলন মিয়ার মধ্য দীর্ঘদিন ধরে একটি হত্যা মামলা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী সৌলরী এতিমখানা ও মাদ্রসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের জন্য গ্রামের স্থানীয় মুসল্লীদের কাছে সামর্থ অনুযায়ী মাহফিলের জন্য আর্থিক সহযোগীর কথা বলা হয়। এ সময় প্রবাসী নজরুল মিয়া মসজিদ কমিটির সদস্য হিসেবে সদস্যদের নিজেদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতার পরিমাণ নির্ধারণ করার পর স্থানীয়দের কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়ার প্রস্তাব দেন তখন মিলন মিয়া প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটিকাটি শুরু হলে মসজিদের ইমাম উভয়কে বাহিরে বের হয়ে যেতে বলেন।
মসজিদের বাইরে এসে নজরুল মিয়ার ভাতিজা জাহাঙ্গীর এবং মিলন মিয়ার মধ্যে ফের বাক বিতন্ডা বাঁধে। এরই জের ধরে দুই পক্ষের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষ চলাকালে মিলন মিয়ার লোকজন নজরুল মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, আমি জেলা শহরে ছিলাম এখন ফিরেছি। বিস্তারিত জানতে পারিনি।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ডালিম আহমেদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি দু'পক্ষের পুর্ব বিরোধ চলছিলো। এরই জেরে আজ মসজিদে ওয়াজ মাহফিলের আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ইটপাটকেল ছুঁড়াছুড়ি সহ সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে আমরা ঘঠনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।