Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ সংষ্করণ 2023-12-17T04:01:12Z
গোলাপগঞ্জ

গোলাপগঞ্জে যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের যৌথ উদ্যোগে বিজয় দিবসে র‍্যালী

বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাও. আলী আহমদ বলেন, "স্বাধীনতা যুদ্ধের বিজয় আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। নয় মাসের যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বিজয় শুধু একটি বিজয় নয়, বরং একটি ইতিহাস। কেননা মাত্র নয় মাসের যুদ্ধের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের ইতিহাস ইতিহাসে বিরল"।

তিনি আরো বলেন, "আমাদের বিজয়ে ভারতের শক্ত সমর্থন অনস্বীকার্য। তবে এই বিভিন্ন সময় ভারতের দাবিতে অনুমেয় হয়, একমাত্র তাদের সমর্থনেই আমরা বিজয়ার্জন করেছি। আমি তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই, আমাদের বিজয় লক্ষাধিক শহীদদের জীবন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত ও মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত। তাদের অবদানকে পাশ কেটে কারো দাবি আমরা কখনোই সমর্থন করবোনা"।

তিনি শনিবার দুপুরে যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়ত গোলাপগঞ্জ উপজেলার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় র‍্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। 

বিজয় র‍্যালীটি উপজেলা জমিয়ত কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নুর ম্যানশনের সামনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। 

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাও. কবির আহমদ বলেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের উলামায়ে কেরাম, বিশেষত জমিয়তের নেতৃবৃন্দের অবদান কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। জমিয়ত নেতৃবৃন্দ শুধু এদেশে নয়। বরং পাকিস্তান পার্লামেন্টেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন। তৎকালীন পাকিস্তান সভাপতি ও খায়বার পাখতুনখার মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মাহমুদ রাহ. পাকিস্তান পার্লামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। জমিয়তের এমন অবদান অবিস্মরণীয়। জাতিকে জানা অবশ্যই প্রয়োজন"।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবনেতা মাও. ফয়সল আহমদ বলেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাস ১৯৪৭ এর স্বাধীনতার সাথে সম্পৃক্ত। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের অবদান উপমহাদেশের আপামর জনতা অবগত। তাই ভারতের মতো করে বাংলাদেশেও উলামায়ে কেরামের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান করা সময়ের দাবি"।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক তুখোড় ছাত্রনেতা মাও. এমাদ উদ্দিন সালিম বলেন, "স্বাধীনতা যুদ্ধে হাজারো জমিয়ত নেতৃবৃন্দ রক্ত জড়িয়েছেন। তাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতায় আজ আমরা এখনো পরাধীন। আজও জমিয়ত ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি"।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুনোওয়ার হুসাইন ও আবুল কাসিম বলেন, "আজ এদেশে একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা আলেম সমাজকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। অথচ মাওলানা ভাসানী, মাওলানা মুহিউদ্দিন খানসহ হাজারো উলামায়ে কেরামের অবদান রয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিচালিত গুলি জামেয়া পটিয়া তাঁর বুকে নিয়ে আজোব্দি গর্বের সহিত দাঁড়িয়ে রয়েছে"।

যারা আগামীতে ইনিয়ে বিনিয়ে, বিভিন্ন উপায়ে উলামায়ে কেরামকে স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে প্রমাণ করতে চাইবে, তাদেরকে স্বাধীনতার ইতিহাসের বিকৃতির দায়ে কঠিন শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

মাও. আব্বাস আল মাহমুদ ও হাফিয নাঈম আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা মাওঃ আব্দুর রব, মাও. সাইফুল ইসলাম তারেক প্রমুখ।
 
বিজয় র‍্যালীতে প্রায় তিন শতাধিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মীবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন। সভার শেষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া উলামায়ে কেরামসহ সকলের মাগফিরাত কামনা করা হয়। দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ