বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সজিব কান্তি হালদার (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা মো. মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সজিব কান্তি হালদার সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানার টেকেরহাট এলাকার বাসিন্দা। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৯ জানায়, সাম্প্রতিক দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সর্বশান্ত করছে এবং বিদেশে গিয়ে তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত ২২ নভেম্বর এরূপ প্রতারণার শিকার ভিকটিম বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় প্রতারণার মামলা করেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আসামি সজিব কান্তি হালদার ওই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হোতা। তিনি প্রতারক চক্রের অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বাংলাদেশ হতে রোমানিয়ায় উচ্চ বেতনে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দেয়ার নাম করে ভিকটিম এবং তাদের অভিভাবকদের প্রলুব্ধ করে প্রথমে পাসপোর্ট এবং প্রাথমিক খরচ বাবদ ভিকটিম ও আরও ২ জনের কাছ থেকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। তারপর ওয়ার্ক পারমিট, পরিবহন খরচ, ভিসা প্রসেসিং, মেডিকেল খরচ, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি খরচের কথা বলে আসামিরা ধাপে ধাপে ভিকটিমদের কাছ থেকে ব্যাংক হিসাব ও নগদে মোট ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে আসামিরা ভিকটিমদের বিদেশ নিতে না পারায় ভিসা যাচাইয়ের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল করে জানতে পারে সমস্ত কাগজপত্র ভুয়া। আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ‘ইমপেক্ট গ্লোবাল’ নামক ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে সজীব কান্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ আসামির ট্রাভেল এজেন্সি বা রিক্রুটিং এজেন্সি পরিচালনার লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। স্বল্প সময়ে বিনাশ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনই ছিল তার লক্ষ্য।