বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট নগরীর বালুচর এলাকায় ড্রেন থেকে পৃথক বস্তাবন্দি অবস্থায় রণজিৎ সরকার (৫৮) নামে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত রণজিৎ সরকার নগরীর আখালিয়ার দুসকি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত বঙ্ক সরকার।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বালুচরস্থ এমসি কলেজ হোস্টেলের শ্রীকান্ত ব্লক সংলগ্ন ড্রেন থেকে দুটি বস্তাবন্দি অবস্থায় এই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
তিনি জানান, আলাদাভাবে লাশের পা ও মাথা উদ্ধার হলেও দুটি হাত উদ্ধার করা যায়নি এখনও। তবে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নগরীর বাদামবাগিচা এলাকার আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন মির্জাপুর গ্রামের মৃত মখন মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত শুক্রবার নিখোঁজ হন রণজিৎ সরকার। শনিবার নগরীর জালালাবাদ থানায় তার ছেলে শংকর দাস একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয়রা এমসি কলেজ হোস্টেলের শ্রীকান্ত ব্লক সংলগ্ন ড্রেন থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় রণজিৎ সরকারের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। রাত ১১ টায় পুলিশ বুর্যে অফ ইনভেস্টিগেশন সদস্যরাও সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করেন। প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে।
লাশ উদ্ধার হলেও অটোরিকশাটি এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নিহতের ছেলে শংকর দাস।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। অটোরিকশা বিষয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, সিলেট মহানগর গোয়েন্দার (ডিবি) ডিসি তাহিয়াত আহমদ চৌধুরী, এসমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সাদেক কায়ছার দস্তগীর, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার জহিরুল ইসলাম, জালালাবাদ থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান, শাহপরান থানার ওসি হারুনুর রশীদ, ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল, জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) খালেদ মামুনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।