Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৩
সর্বশেষ সংষ্করণ 2023-11-06T20:38:49Z
সিলেট

সিলেটে মহিলা নাট্য কর্মীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২

বিজ্ঞাপন

জি ভয়েস ডেস্ক: সিলেটের এক মহিলা নাট্য কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় ২ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। রোববার (৫ নভেম্বর) পৃথক অভিযান চালিয়ে এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সিলেটে নগরের মিরাবাজার চুন্দানীটু লা উদ্দীপন ৬২-এর মৃত শফিক মিয়ার পুত্র শাহাদত হোসেন রাজন, রাজনের ভ্রাতৃবধূ শারলিন বেগম। এরমধ্যে শাহ নেওয়াজ হোসেন শাহীন "জিন্দাবাজার পয়েন্ট" নামের ফেইসবুক পেইজের এডমিন।

গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরের রায়নগরের বর্তমান বাসিন্দা সিলেটের নাট্য কর্মী এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন ও পর্ণোগ্রাফির মাধ্যমে জিম্মি করে লাগাতার ধর্ষণ করে সিলেটে নগরের মিরাবাজার চুন্দানীটুলা উদ্দীপন ৬২-এর বাসিন্দা মৃত শফিক মিয়ার ছেলে শাহ নেওয়াজ হোসেন শাহীন। এই কাজে শাহীনের পরিবার পরিজনসহ বন্ধুরাও তাকে সহযোগিতা করে বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়।

চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে নগরের রায়নগরস্থ ভিকটিমের বাসায় এই নাট্যকর্মীকে ধর্ষণ করা হয় বলে তিনি এজহারে অভিযোগ করেন।

দীর্ঘদিন ধর্ষণের পর শাহীন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ওই নারী গত ১৫ অক্টোবর সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলায় ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগ এনে অভিযুক্ত শাহ নেওয়াজ হোসেন শাহীনসহ ৫ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনসহ পেনাল কোডের সংলিষ্ট ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করতে সিলেট কেতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ করেন। 

আদালতের আদেশে কোতোয়ালি পুলিশ গত ২৭ অক্টোবর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা (মামলা নং-৪৫(১০)২৩) রুজু করে।
এই মামলায় রবিবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে ধর্ষক শাহীনের ভাই রাজন, রাজনের ভ্রাতৃবধু শারলিন ও তার ভাই মাহিনকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তবে ধর্ষণ মামলার মূল আসামী শাহ নেওয়াজ হোসেন শাহীন এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
 
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মিজান আসামীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই মামলায় মূল আসামী সহ এজহারভুক্ত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ