Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩
সর্বশেষ সংষ্করণ 2023-10-06T18:37:51Z
সিলেট

সিলেটে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক শরীফকে তোলে নেয়ার চেষ্টা

বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সংবাদ প্রকাশ করায় সময় টেলিভিশন সিলেট ব্যুরোর রিপোর্টার ও সিলেটের পাঠকপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল সিলেট ভয়েস এর স্টাফ রিপোর্টার শরীফ উদ্দিন তানু মিয়া (শাহ শরীফ উদ্দিন)-কে তোলে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে সাধারণ ডায়রিতে উল্লেখ করেন তিনি।

সাংবাদিক শরীফ বলেন, এসময় তিনি নগরীর হাওয়া পাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল দাড় করিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। তখন বিদ্যুৎ ছিলো না। হঠাৎ করে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস (নোহা গাড়ি) থামিয়ে তিনজন মানুষ তাকে ধরে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। তখন তিনি চিৎকার শুরু করলে লোকজনের এগিয়ে আসা দেখে তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। যাবার সময় একজন বলে যায়, ‘টিবওয়েলের টাংকির ভেতর তোরে ঢুকিয়ে রাখব। লাশও কেউ পাবে না।’

শরীফ আরও বলেন, সম্প্রতি সরকারি টিবওয়েল নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়ার ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য আমার কাছে আসে। বিষয়টি নিয়ে আমি অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, সরকার থেকে গরিব অসহায় মানুষকে বিশুদ্ধ পানি দেওয়ার জন্য বিশ্বনাথ উপজেলায় ৭ শত ৭২ টি টিবওয়েল বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার প্রতিটির বরাদ্দ দেওয়া হয় প্রায় তিন লাখ টাকা। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান সেগুলো সঠিক ভাবে মানুষকে না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অধিকাংশ টিবওয়েল বিক্রি করে দেন। যা নিয়ে ‘সরকারি টিবওয়েল যেন হরিলুটের মাল’ শিরোনামে গত ১ আগস্ট সময় টেলিভিশলে সংবাদ প্রচারিত হয়। যখন আমি সংবাদটি তৈরির কাজ করছিলাম তখন নুনু মিয়া নানা ভাবে আমাকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এমনকি আমাকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এই সংবাদটি প্রকাশের পর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে লোক পাঠিয়ে আমাকে তোলে নিয়ে নির্যাতন কিংবা হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে আমার মনে হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকে আমি অনেকটাই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। তাই আমি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি।

অপরদিকে সাধারণ ডায়রির ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, উনি জিডি করেছেন। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ