বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশে রিন্টু মালাকার সাধুকে নিয়োগ না দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলার চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়। এতে ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা রিন্টু মালাকারকে নিয়োগ না দিতে স্বাক্ষর করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, রিন্টু মালাকার সাধু একজন মাদক সেবনকারী। নিজ বাড়িতে সে মাদক সেবনকারীদের নিয়ে আসর জমায়। এতে স্থানীয় যুবকরা মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় ।
শুধু মাদক সেবন নয়, মাদক সেবনের পাশাপাশি তার উশৃংখল জীবনযাপন নিয়েও সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। স্থানীয়দের আশঙ্কা গ্রাম পুলিশে নিয়োগ পেলে সে তার পদ পদবী ব্যবহার করে নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাবে। এতে স্থানীয় যুবসমাজ মাদক আসক্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বীগ্ন সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, রিন্টু মালাকার সাধু এসব কর্মকাণ্ডের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত। তাদের দাবি রিন্টু মালাকার সাধু শিক্ষা জীবনে প্রাথমিকের গন্ডি পেরোতে পারেনি। সে ৮ম শ্রেণীর ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে হয়তো আবেদন করেছে। তার বিষয়ে আরো খোঁজ খবর ও তার সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাইয়ের জোর দাবি জানান তারা।
স্থানীয়রা আরো জানান, রিন্টু মালাকারের জায়গায় যদি একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার হয়রানি থেকে মুক্ত হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিন্টু মালাকার সাধুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। পাশাপাশি সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য আর্থিক লেনদেনের ইঙ্গিত দেন এবং প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করবেন বলে জানান।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লায়েছ আহমদ লায়েনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সে হিন্দু মানুষ তাই সেবন করলে করতেও পারে। তবে আপনারা খোঁজ নিলে আরও ভালো জানতে পারবেন। তবে সার্টিফিকেট জাল কি না সেটা আমার জানা নেই।
এদিকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর রিন্টু মালাকার সাধুর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানা গিছে। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এস আই সোহেল জানান, রিন্টু মালাকার সাধুর বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।