বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নিয়ে একসময় ভোগান্তির শেষ ছিল না। নির্বাচন অফিসে ঘুরতে হয়েছে দিনের পর দিন। সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গণশুনানির আয়োজন করার পর থেকে কমেছে ভোগান্তি।
সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার নির্বাচন অফিসে অনুষ্ঠিত হয় গণশুনানি। আবেদনকারীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসলেই কর্মকর্তারা করে দিচ্ছেন সংশোধনের কাজ। এতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে আসা জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তিবোধ কাজ করছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) নগরীর মেন্দিবাগস্থ সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে পূর্বনিধারিত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অর্ধশতাধিক আবেদনকারী। কেউ এসেছেন নিজের নাম সংশোধনে, কারো প্রয়োজন বাবা-মা কিংবা জন্মতারিখ সংশোধন। নির্বাচন কর্মকর্তারা সবার সমস্যা শুনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সংশোধনের পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। কোন ধরণের হয়রানি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কাজ করাতে পেরে সন্তুষ্ট ছিলেন উপস্থিত সবাই।
নগরীর টিলাগড় থেকে আবদুল কাদির নামের পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি এসেছেন তার নাম সংশোধন করতে। পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের প্রয়োজন পড়েছে। প্রয়োজন কাগজপত্র দেখে সংশোধনের কাজ করে দেন কর্মকর্তারা। খুশি হয়ে ফিরে যান আবদুল কাদির।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদের জানান, গণশুনানির দিন আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়। এরপর আবেদনকারীদের প্রমাণপত্র দেখে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এছাড়া যেসব নতুন ভোটার অনলাইনে আবেদন করেছেন তারা প্রিন্ট কপির সাথে প্রমাণপত্র নিয়ে আসলে আমরা তাকে ভোটার করে জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন কপি দিয়ে দেই। জনসাধারণ যাতে কোন ধরণের ভোগান্তির শিকার না হন সেজন্য প্রতি মঙ্গলবার এভাবে গণশুনানি করা হয়।