বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : আরিফ হোসেন তালুকদার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল সোনাবই গ্রামে। তার বাবার ইচ্ছে ছিল, ছেলে হেলিকপ্টার চড়ে বিয়ে করতে যাবে। অবশেষে বাবার সেই ইচ্ছে পূরণ করলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আরিফ।
বৃহস্পতিবার আরিফ হবিগঞ্জ শহরের মাহমুদাবাদ এলাকার স্কুলশিক্ষক সোফায়েল আহমেদ তালুকদারের মেয়ে নিশাত আনজুম তালুকদার ইতিকে বিয়ে করেছেন। এর আগে, কনের বাড়ি যেতে আজ দুপুর দেড়টায় উপজেলার উচাইল ঈদগাঁ মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়েন তিনি। মাত্র পাঁচ মিনিটে কনের বাড়ির পাশে ঈদগা মাঠে পৌঁছান বর বাহী এ হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার থেকে নেমে ঘোড়ার গাড়িতে যান স্থানীয় আমিরচাঁন কমপ্লেক্সে। সেখানে বর-কনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ফেরেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আরিফ।
স্থানীয় বাসিন্দা সনজব আলী বলেন, ‘ঘোড়ার গাড়ি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। সময়ের পরিবর্তনে ঘোড়ার গাড়ি বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘদিন পর হেলিকপ্টার ও ঘোড়ার গাড়িতে চড়তে বরকে বিয়ে করতে আসতে দেখলাম।’
আরিফ হোসেন তালুকদার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। আমি পরিবারের বড় ছেলে। বাবার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাব। বাবার শখ পূরণ করতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাই। তাছাড়া গ্রামবাসীও এমন কাজে খুব খুশি হয়েছেন।’
কনের বাবা সোফায়েল আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘হেলিকপ্টার চড়ে আমার মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেছে। এটা খুবই আনন্দের বিষয়। দোয়া করি, তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়।’
বরের বাবা আকবর হোসেন তালুকদার স্বপন বলেন, ‘আমার খুব শখ ছিল, ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাড়িতে আনব। সেই শখ পূরণ করতেই হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এ জন্য আড়াই লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে এলাকাবাসী খুব আনন্দ পেয়েছেন। আমিও ছেলের বিয়েটি স্মরণীয় করে রাখলাম।’
সূত্র : সমকাল