বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : হবিগঞ্জের বাহুবল মডেল থানার ওসির কক্ষ ও বাসভবন থেকে এসি খুলে নিয়ে গেছেন ওই থানার সাবেক ওসি রাকিবুল ইসলাম খান। দু’টি এসি নিজের দাবি করেছেন তিনি। যদিও থানা সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছেন, হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি বরাদ্দের টাকা দিয়ে দুটি এসি লাগানো হয়েছিল।
জানা যায়, গত ৭ আগস্ট বাহুবল থানা থেকে ওসি রাকিবুল ইসলাম খানকে প্রথমে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়। পরে ১৪ আগস্ট তিনি মাধবপুর থানায় বদলি হন। মাধবপুরে যাওয়ার সময় ওসি রাকিব বাহুবল থানার ওসির অফিস ও বাসভবনের জন্য ব্যবহৃত দুটি এসি সঙ্গে নিয়ে যান ।
থানার সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি (টিআর) আওতায় হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ গত বছরের ফেব্রুয়ারীতে বাহুবল থানার ওসির অফিস কক্ষে ও বাসভবনের জন্য দুটি এসি স্থাপনে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। বরাদ্দের পর পরই এগুলো স্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহুবল মডেল থানায় নতুন ওসি মশিউর রহমান বলেন, আমি গত ১২ আগস্ট থানায় যোগদান করেছি। বাসভবন বা অফিসে কোন এসি পাইনি।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের এক অনুষ্ঠান এই বিষয়ে এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসি খুলে নেওয়ার ঘটনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওসির রাকিবুলের এই কাজে নিন্দাও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওসি রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, অফিসে বা বাসভবনে কোনো এসি ছিল না। খুলে আনা এসি তার ব্যক্তিগত বলে দাবি করেন তিনি।
এমপি'র বরাদ্দ দেওয়া এসি কোথায় গেল জানতে চাইলে তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। থানায় কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওসি কক্ষে ও বাসভবনে এসি ছিল।
এ ব্যাপারে (মাধবপুর - চুনারুঘাট) সার্কেলের এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতে তাকে ডেকে নিয়ে কথা বলবো। তিনি হেসে বলেন, ‘ভাই ভুঞাপুর থানার ওসির এসিকান্ড ভুলতে পারিনি। আবার বাহুবল থানার এসি খুলে নেয়া বিষয়টা যদি সত্যিই হয় তাহলে তা খুব লজ্জাজনক। আমাদের সময়ে থানায় এসি দরকার ছিল না।’
এর আগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের বদলি হওয়ার সময় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে সঙ্গে নিয়ে যান।
সূত্র : দেশ রুপান্তর