বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জের ধরে প্রতিপক্ষের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ৫ জন আহত হয়েছেন।
গত (২৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টা ও পোনে ১১টার দুই দফা উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে ও আসামিদের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের নগর দত্তরাইল গ্রামের মৃত জোয়াইদ আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ বাদি হয়ে গত ২৭ এপ্রিল সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি (সি.আর মামলা নং- ১৫১/২০২৩ইং) দায়ের করেন যা পরবর্তীতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার (মামলা নং- ২৬, তাং-২৯/৪/২০২৩ই)। মামলায় ৯ জনের নামোল্লেখ করে আর ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার ঘটনায় আজ (২০ জুন) সিলেটের নিম্ন আদালতে আসামিরা জামিন চাইতে গেলে আদালত আসামি ৪ জনকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
কারাগারে প্রেরণকৃত আসামিরা হলেন- দক্ষিণ রায়গড় দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ (৫০), তার ভাই
এমরান আহমদ (৩০), ফয়াজ আলীর ছেলে জাবেদ আহমদ (১৯) ও সেলিম আহমদের ছেলে সায়েম আহমদ (২০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার এক নাম্বার আসামি সেলিম আহমদ গত ইউপি নির্বাচনে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে আব্দুর রহিমের কাছে পরাজিত হন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় আসামিরা প্রতিপক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। নির্বাচনের সময় হামলায় আহত শাকিল আহমদ সুমন ও রাজন আহমদ প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকাবস্থায় তারা না কি বিজয়ী আব্দুর রহিমকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। যে কারণে প্রবাস থেকে কখনো দেশে এলে তাদেরকে প্রাণে হত্যা করবে বলে আসামিরা হুমকি দিয়ে আসছিল।
আরও জানা যায়, সম্প্রতি আসামিদের হামলায় আহত শাকিল আহমদ সুমন ও রাজন আহমদ দেশে আসেন। তারা দেশে আসার পর থেকে আসামিরা তাদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। এরই জের ধরে গত ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রবাসী রাজন আহমদকে একা পেয়ে তার উপর হামলা চালায় আসামিরা। এসময় মামলার ৬ নাম্বার আসামি রাহাত প্রবাসী রাজন আহমদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। রাজন আহমদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আরও জানা যায়, পরবর্তীতে হামলার খবর পেয়ে আহত রাজন আহমদকে দেখার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসেন বাকি আহতরা। তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকাদক্ষিণ বাজারে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আসামিরা তাদের বাড়ির সামনে আহত বাকিদের পেয়ে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুনরায় হামলা চালায়৷ হামলায় তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন আসামিরা৷ তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহতদের ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।