বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জে মসজিদের টিউবওয়েল চুরির প্রতিবাদ করার জেরে প্রতিপক্ষ কর্তৃক আজিম উদ্দিন নামের যুবকের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজিম উদ্দিন ঘোষগাও গ্রামের মুখলেছুর রহমানের পুত্র।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী যুবক সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানাকে মামলাটি এফআইআর করার নির্দেশ দেন আদালত। মামলা নং- জি আর ২২৪/২০২৩ইং।
মামলার আসামীরা হলো পৌর এলাকার ঘোষগাও বাঘমারা গ্রামের মইজ উদ্দিনের পুত্র জসিম উদ্দিন (৩০), হোসেন আহমদ (৩৫)।
মামলা এজহার সূত্রে জানা যায়, গত কিছু দিন আগে পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ইয়াগুল জামে মসজিদের একটি টিউবওয়েল চুরি হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আজিম উদ্দিন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রতিবাদ করেন। এই জের ধরে আসামীগণ বিভিন্ন সময় আজিম উদ্দিনকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
গত ৬জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে আজিম উদ্দিন কাজ থেকে ফেরার পথে ঘোষগাও বাঘামারা নতুন রাস্তার মুখ ফরসের টিল্লায় আসা মাত্র আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে প্রাণের মারার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এসময় আজিম উদ্দিন ও তার সাথে থাকা রাজু আহমদ চিৎকার করলে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আজিম উদ্দিনকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আজিম উদ্দিন জানান, মসজিদের টিউবওয়েল চুরির ঘটনায় প্রতিবাদ করাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চুরির ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা হয়। এই জের ধরে আসামীগণ বিভিন্ন সময় আমায় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
এরই পরিপেক্ষিতে আসামীগণ আমার উপর আমায় প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমার বাম হাত ভেঙ্গে দু টুকরো হয়ে গেছে। হামলার সাথে জসিম ও হোসেন ছাড়াও মইজ উদ্দিন, আনুর মিয়া, আমির আলী, নুরু মিয়া ও জামিল আহমদ জড়িত রয়েছে। তারাও আমার উপর হামলা করে। এ ঘটনার তদন্ত করলে এই ৫জন যে হামলায় জড়িত তা প্রামাণিত হবে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরুজ আলী জানান, আসামীতে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।