বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে ছাত্রদলের একটি মিছিল থেকে আটক আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে হযরত শাহজালাল (র.) তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই কাজী জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, মঙ্গলবার মিছিল থেকে আটক আটজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার আটজন হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপি ছাত্রদলের সদস্য জুনায়েদ হোসেইন (৩০), মহানগর ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (৩৪), সিলেট সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য রাজু আহমদ (৩৮), সদর উপজেলার লাখাউড়া এলাকার কামরুল হাসান (২৫), মহানগর ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম টিপু (৩৮), নগরীর বনকলাপাড়ার পারভেজ খান জুয়েল (৩৯), সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের হালাবাদি গ্রামের সাইফুল ইসলাম সোহাগ (২০) এবং নগরীর কানিশাইল সজিব মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা মো. হাফিজুর (২৫)।
এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার আটজন ও অজ্ঞাত ১৫০-২০০ উশৃঙ্খল নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এতে নেতৃত্ব দেন মামলার দুই নম্বর আসামি। এ সময় সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা।
ঘটনার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্ত হতে আহ্বান জানায় পুলিশ। কিন্তু তারা উত্তেজিত হয়ে সরকারি গাড়িতে বাধা দেয় ও হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়। আলামত হিসেবে সেখান থেকে ১৮টি বাঁশের লাঠি ও ১৫টি ইটের টুকরো জব্দ করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।