বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসংগতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কর্মচারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থাকার পরও অভিযোগের তদন্ত না করে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত কর্মচারী পদে এমপিওভুক্তির জন্য কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।।
তাদের মধ্যে আলোচিত দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলো জৈন্তিয়াপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়। কর্মচারী পদে নিয়োগ এমপিও কার্যক্রম স্থগিত ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ভুক্তভোগীগণ মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে শরণাপন্ন হয়েছেন।
ভুক্তভোগীগণ ০৩ মে ২০২৩ ইং মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগে উল্লেখ করেন, তারা সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী পদে নিয়োগ পরীক্ষার্থী। নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণ শেষে জানতে পারেন উক্ত নিয়োগগুলোতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অসংগতির ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। ফলে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষাগুলো নিয়ে মহাপরিচালক, উপ-পরিচালক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।
কিন্তু পরে জানতে পান, অভিযোগগুলোর তদন্ত না করে কর্তৃপক্ষ কর্মচারী পদে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ যে, উক্ত নিয়োগ পরীক্ষার অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসংগতি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনকারীর কাছ থেকে দুটি স্কুলের কর্তৃপক্ষের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অগ্রিম উৎকোচ গ্রহণের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এমনকি নিয়োগ পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীকে সাম্প্রদায়িকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ভুয়া একাডেমিক সনদ দিয়ে ক্যাটাগরি ফিলাপ করার জন্য আবেদনকারীকে বৈধতা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আবেদনকারী প্রার্থীকে হোয়াটসঅ্যাপে পরীক্ষার আগে এডমিট কার্ডের ছবি পাঠিয়ে পরীক্ষার দিন হলে প্রবেশের পূর্বে এডমিড কার্ড গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
অভিযোগ থাকার পরও তদন্ত না করে সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃপক্ষ কর্মচারী নিয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগের ভূয়া আপোষনামা দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ করে পুনঃরায় নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে সিলেট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, অভিযোগগুলো পেয়েছি কিন্তু সব অভিযোগ যে তদন্ত করতে হবে তা নয়। বিষয়গুলো দেখা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও নিয়োগ কমিটির কাজ। আমি একাডেমিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত। আমি এমপিওভুক্তির ফাইল ভালো করে কাগজপত্র দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের বারবার ফোনে আমি বিরক্তবোধ করছি। তারপরও অফিসে আসবেন, চায়ের দাওয়াত রইলো।
বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি।