বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নুর উদ্দীন (২৬) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সেহেরির সময় তাকে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের ধলাই নদীর কালা পাথর বাঁধ এলাকা থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নুর উদ্দীন স্থানীয় উত্তর ঢালারপাড় গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে। তিনি পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে জনা যায়।
নুর উদ্দিনের বাবা তাহের মিয়া জানিয়েছেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে তাকে কে বা কারা মোবাইল ফোনে ডেকে নেয়। রাতে সে সেহেরি খেতে বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ দিকে রাত ১টার পর স্থানীয় ঢালারপাড় চকবাজারে নুর উদ্দিনকে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। ধারণা করা হচ্ছে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত ২টা থেকে ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। মরদেহ উদ্ধারের পর তার পিঠে ১৫টি ও হাতে একটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক আল আমিন জানান, ধলাই নদীতে ভাসমান মরদেহের খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ও তাৎক্ষনিক পরিচয় শনাক্ত করে। নুর উদ্দিন পুলিশ সোর্স কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তার এলাকায় পুলিশের বিভিন্ন কাজে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মাঝে মধ্যে সহযোগিতা করতেন। পুলিশকে সহযোগিতার কারণে হত্যাকাণ্ড কি না সে বিষয়টি তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায় বলেন, তার সঙ্গে কারো শত্রুতার বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত চলছে। দ্রুত খুনিকে শনাক্ত করা যাবে বলে আশা করছি।
সূত্র : সিলেট টুডে