Advertisement (Custom)

বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩
সর্বশেষ সংষ্করণ 2023-04-06T15:14:24Z
সিলেট

সিলেটের অর্ধলক্ষ গ্রাহক পাচ্ছেন গ্যাসের প্রিপেইড মিটার

বিজ্ঞাপন

ডেস্ক রিপোর্ট : গ্যাসের অপচয় রোধে চলতি মাসে সিলেট নগরীতে প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন শুরু করতে যাচ্ছে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

প্রথম পর্যায়ে নগরীর ৫০ হাজার গ্রাহককে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে বলে জালালাবাদ গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক লিটন নন্দী জানিয়েছেন। 

কন্টাক্টলেস স্মার্ট কার্ডভিত্তিক উন্নত প্রযুক্তির এসব মিটার জালালাবাদ গ্যাসের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যবস্থায় যতটুকু গ্যাস ব্যবহার হবে ততটুকুরই বিল দিতে হবে। পুরো মাস চুলা বা গ্যাস ব্যবহার বন্ধ থাকলে বিল আসবে না। 

লিটন নন্দী বলেন, “ঈদের আগে সিলেট নগরীতে আমরা প্রিপেইড মিটারের সংযোগ স্থাপন শুরু করব। এ জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। চীন থেকে প্রিপেইড মিটারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে রিসিভ করাও হয়ে গেছে।”

১৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের প্রথম ধাপ এপ্রিলের ১৫ তারিখ শুরু হবে বলে জানান তিনি। 

প্রথম ধাপে নগরীর হাউজিং এস্টেট, দরগামহল্লা, সুবিদবাজার, মিয়া ফাজিল চিশত, পাঠানটুলা, বাগবাড়ি, লামাবাজার, দাড়িয়াপাড়া, শেখঘাট, জিন্দাবাজার, সোবহানিঘাট, বড়বাজার, শাহী ইদগাহ, বালুচর, শিবগঞ্জ, শাহজালাল উপশহর ও মেজরটিলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার আবাসিক গ্রাহকদের এই সংযোগ দেওয়া হবে।

পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও মিটারের আওতায় আনা হবে। 

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড (জেজিটিডিএসএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিলেটে বর্তমানে তাদের ৯৫ হাজার আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। এই গ্রাহকরা দুই লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪টি চুলা ব্যবহার করছে।

সিলেটে গ্যাসের আবাসিক গ্রাহকদের প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বানের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে জেজিটিডিএসএল। 

সেগুলো হচ্ছে চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য কনসোর্টিয়াম অব জেনারেল মিটারিং টেকনোলজি (সাংহাই) লিমিটেড ও হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড।

প্রকল্পের কাজ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য শুরু হয় জরিপ কাজ। এর মধ্যে নগরীর ৫০ হাজার গ্যাসের চুলা বসানোর জরিপ শেষ হয়েছে।

তবে এ প্রকল্পের প্রথম উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুযায়ী গত বছরের নভেম্বরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে ডিপিপি সংশোধন করে গত বছরের মার্চে দরপত্র আহ্বান করে জালালাবাদ গ্যাস। এতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। 

প্রিপেইড মিটার ব্যবহারে গ্যাসের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে এবং গ্রাহকেরা অতিরিক্ত বিল দেওয়ার হাত থেকে রেহাই পাবেন জানিয়ে প্রকল্পের পরিচালক লিটন নন্দী জানান, নিকটস্থ রিচার্জ পয়েন্ট থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ক্রেডিট কিনে প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করা যাবে। রিচার্জ শেষ হলেও এতে ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের সুবিধা থাকবে।  

প্রিপেইড মিটার বসানোর খবরে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন নগরবাসীও।

সিলেট নগরীর বাগবাড়ির বাসিন্দা সাগর তালুকদার বলেন, "শুনেছি আমাদের পাড়ায় গ্যাসের প্রিপেইড মিটার লাগানো হবে। এই মিটার লাগালে প্রতিমাসে আর ব্যাংকে গিয়ে লাইন ধরে বিল জমা দিতে হবে না। বাসা থেকে বসেই রির্চাজ করা যাবে, এতে অনেক সময় বাঁচবে। 

“এ ছাড়া গ্যাস ব্যবহার করলে টাকা কেটে নিবে, না করলে আর টাকা দিতে হবে না।"  

জালালাবাদ গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মঞ্জুর আহমদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিলেটে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ আরও আগে শুরু হওয়ার কথা ছিল; বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এ প্রকল্পটি শুরু হতে দেরি হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ১ম ধাপের ৫০ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ শেষ করা হবে।

গ্যাসের চুলা প্রিপেইড মিটারের আওতায় এলে গ্রাহকরা উপকৃত হবেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এ পদ্ধতিতে যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করা হবে ততটুকুর বিল আসবে। এতে গ্যাসের অপচয়ও কমবে; প্রবাসী গ্রাহকেরা উপকৃত হবেন।” 

পুরো মাস চুলা বা গ্যাস ব্যবহার বন্ধ থাকলে কোনো বিল আসবে না। ফলে গ্রাহকদের অর্থও সাশ্রয় হবে, বলেন এই প্রকৌশলী।


সূত্র : বিডিনিউজ
বিজ্ঞাপন

জনপ্রিয় সংবাদ