বিজ্ঞাপন
দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ : আমের মুকুল জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের। ফুলে ফুলে ভ্রমর আর মাছির গুন গুন শব্দে সে যেন তাদের রাজ্য। মৌ মৌ গন্ধে উড়ে বেড়াচ্ছে গাছে গাছে আর খেলা করছে । শীতের রিক্ততা মুছে আসছে প্রকৃতিজুড়ে সাজ সাজ নতুন রূপ। গাছে জেগে উঠছে নতুন যৌবনের ঢেউ। গাছের শাখায় জেগে উঠেছে সবুজ পাতার মাঝে হলুদের নতুন মুকুল। ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। আর ঋতুর রাজা বসন্ত। এসেছে বসন্ত । মাঘের শুরুতেই টক মিষ্টি জাতীয় ফল আমের মুকুল ফুটেছে গাছে গাছে। আমের বাগানে নতুন ফুলের সৌরভ।
আবহমান গ্রামবাংলায় সাধারণত আগাম জানান দেয় তার আগমনী বার্তা। তেমনি ঋতুরাজ বসন্তের আগেই সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে আমের মুকুল জানান দিচ্ছে মধু মাসের আগমনী বার্তার। গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে সর্বত্র আম গাছগুলো তার মুকুল নিয়ে হলুদ রঙ ধারণ করতে চলেছে। ধীরে ধীরে আমের মুকুলে ছেয়ে যাচ্ছে গাছের প্রতিটি ডাল। হালকা বৃষ্টির কারনে গাছের যেন যৌবন ফিরে এসেছে। সৌন্দর্য বাড়তে শুরু করেছে প্রকৃতির।
স্থানীয়রা জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে বসন্তের আগেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। তবে মাঘের শেষেই প্রতিটি গাছে পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটবে। তারা আরও জানান, গোলাপগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে আমের চাষ না হলেও স্থানীয়রা বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে বিভিন্ন প্রকার চারা সংগ্রহ করে বাড়ির আঙিনায় রোপণ করে থাকেন।
জানা যায়, আমের মুকুলের প্রধান শত্রু কুয়াশা। কুয়াশার কারণে আমের মুকুল নষ্ট হয়ে যায়। তবে আমের মুকুল আগে পরে যে আবহাওয়া প্রয়োজন তা এখনো বিরাজমান রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে বাড়ির আঙিনায় আম চাষ করা হয়। এবার আবহাওয়ার কারণে আম গাছে আগাম মুকুল এসেছে। ভালোভাবে পরিচর্যা করা হলে ফলন ভালো হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি আরও জানান, এবছর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করা হয়েছে। আগামী দুই এক বছরে ভালো ফলন হবে বলে আশা করি।
তিনি জানান, যদি কেউ বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করায় আগ্রহী থাকে তাকে উপজেলা কৃষি অফিস সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন।