বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গেই নিহত হন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আবুল হোসেন (৪৫) ও তাঁর ছেলে নাদিম হোসেন (১০)। ছেলে নাদিম হোসেনকে দক্ষিণ আফ্রিকায় দাফন করা হলেও তাঁর বাবা আবুল হোসেনের লাশ দাফন করা হয়েছে ফেনীর নিজ গ্রামে।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় সোনাগাজীর চর মজিলিশপুর ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে আবুল হোসেনকে দাফন করা হয়। একই দিনে তাঁর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আরও তিন বাংলাদেশির লাশ সকালে নিজ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রাজু আহম্মেদ (৩৪), মোস্তফা কামাল (৪০) ও ইসমাইল হোসেন (৩৮)। তাঁরা সবাই ফেনীর বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে চারজনের লাশ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে দিবাগত রাত একটা থেকে দেড়টার দিকে লাশগুলো নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে পৌঁছায়।
সোনাগাজীর চর মজিলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ হোসেন জানান, রাতে আবুল হোসেনের লাশ নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সকাল ১০টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে আবুল হোসেনের লাশ দাফন করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হোসেন বলেন, আবুল হোসেনের লাশ নিয়ে আসা হলেও তাঁর ছেলে নাদিম হোসেনের লাশ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। নাদিমের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়ায় সেখানেই তাকে দাফন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত ইসমাইল হোসেনের বাড়ি ফেনীর সদর উপজেলার বিরলী গ্রামে। তাঁর ভাই নিজাম উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, রাত একটার দিকে ইসমাইল হোসেনের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে।
নিহত মোস্তফা কামালের বাড়ি দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের দক্ষিণ নেয়াজপুর গ্রামে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ জানান, নিহত মোস্তফা কামালের লাশ আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহত রাজু আহম্মদের বাড়ি দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মমারিজপুর গ্রামে। তাঁর লাশ সকাল ১০টায় দাফন হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোররাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের লোকানকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ বছরের এক শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি নিহত হন। ওই বাংলাদেশিদের বহনকারী একটি প্রাইভেট কার ওয়েস্টার্ন কেপ থেকে কেপটাউন বিমানবন্দরে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিসুল হক মিলন নামের আরও একজন। তাঁর লাশ দেশে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। তাঁর বাড়িও ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায়।
সূত্র : প্রথম আলো