বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: রমজানের আগেই সিলেটে বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের দাম। মাংস, মুরগি, ছোলা, পেঁয়াজ, চিনি, খেজুর, ডালসহ সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সরবরাহ কমের অজুহাত দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।
বুধবার (২২ মার্চ) সিলেটের বিভিন্ন বাজার পর্যালোচনা করে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে যে পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৪০ টাকায়। এভাবে রমজান উপলক্ষে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আদা, রসুনেও কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এদিকে সরবরাহ কম চিনির।
এমন অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। এক ক্রেতা বলেন, ‘আমাদের আয় তো বাড়েনি। কিন্তু প্রতিনিয়তই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। আগে রসুনের কেজি ছিল ১২০ টাকা, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকায়। এর পাশাপাশি সব পণ্যের দামই ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।’
এদিকে ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী ডিম ও গরুর মাংসের বাজারও, তবে মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে খেজুর ও ফলের দামও বেড়ে গেছে।
এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে কোনো তদারকি নেই। যে যার ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে।’
অপরদিকে দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতারা নানা অজুহাত দিচ্ছেন। এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা বেশি দামে কিনছি বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি। বাজারে প্যাকেটজাত চিনি নেই বললেই চলে, খোলা চিনিই বিক্রি করতে হচ্ছে।’
সিলেটের বাজারে বেড়েছে সবজির দামও। প্রকারভেদে প্রতি কেজি সবজির দাম ২০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে গেছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। ১৫ থেকে ২০ টাকার টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ৩০ থেকে ৩৫ টাকার বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, ধনিয়া পাতা ও খিরার দাম দিগুণ বেড়ে যথাক্রমে ৮০ থেকে ১২০ টাকা এবং ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে সরবরাহ কম। কিন্তু চাহিদা বেশি। তাই দাম বেশি। আর এক ক্রেতা বলেন, ‘আমাদের মতো সাধারণ মানুষের আয় তো বাড়ছে না। তাই বাধ্য হয়ে কম পরিমাণে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু দাম অতিরিক্ত কমে গেছে।’
এদিকে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাজার তদারকির জন্য আমরা ৫ সদস্য বিশিষ্ট তিনটি কমিটি গঠন করেছি। সেই সঙ্গে মোবাইল কোর্টও তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’
তবে সয়াবিন তেল, ছোলা, আটা, ময়দাসহ কয়েকটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।