বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র ধনী দেশ কাতারের মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানী ওরিদো( oredoo) প্রতিবারের ন্যায় এবারও ১১তম ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজনের ঘোষনা করেছে।
বিগত ১৫ জানুয়ারী (রবিবার) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ওরেডু ২০২৩ বাই দোহা ম্যারাথন’-এর প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছিল যা ২০ জানুয়ারী(শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে।
কাতার অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সহযোগিতায় বার্ষিক ক্রীড়া ইভেন্টের ১১ তম প্রতিযোগীতায় অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রায় ৮ হাজার জন দৌড়বিদদের সব বিভাগের জন্য প্রায় কাতারী ১মিলিয়ন প্রাইজমানি প্রদান করবে।
সেই প্রতিযোগীতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক রানারদের সাথে লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে একমাত্র বাংলাদেশী প্রতিযোগী হিসেবে ৪২ কি.মি. ম্যারাথনে অংশগ্রহন করবে বাংলাদেশী যুবক কাতার প্রবাসী সাংবাদিক কে.এম. সুহেল আহমদ।
দোহা ওরিদো ম্যারাথনে যথাক্রমে ২০১৯ সালে ২১ কিমি ( হাফ ম্যারাথন) ও ২০২০ সালে ৪২ কিমি( ফুল ম্যারাথন) ফিনিশার হয়ে মেডেল অর্জন করার গৌরব লাভ করেন তিনি।
সাংবাদিক সুহেল আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের বনগ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়া ও তিনি 'লেখক- সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন কাতার'র ক্রীড়া সম্পাদক ও সময়ের জনপ্রীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ' 'সিলেট মিডিয়া ডটকম'র' কাতার প্রতিনিধি।
তিনি বলেন, জয় পরাজয় বড় কথা নয়, আমার মাতৃভূমির পরিচয়কে বিশ্বের দরবারে প্রতিস্থাপন করাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। সেজন্য তিনি সকলের দোয়াপ্রার্থী।
জানা যায়, 'ওরিদো দোহা ম্যারাথন' প্রথমত ২০১৩ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি দোহার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাথলেটিক অনুষ্ঠান। কাতারের লোকেরা এই চলমান ইভেন্টের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এবং দৌড় দেখার জন্য রাস্তায় মিছিল করে।
ইভেন্ট অ্যাম্বাসেডর এবং কাতারি অ্যাথলিট মুতাজ বারশিমের সাথে দোহার ওয়েস্ট বে এর ওরেডু টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওরিডু ক্রীড়া ইভেন্টের উদ্বোধন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছিলেন।
দোহার রুমাইলা এলাকায় অবস্থিত কর্নিশে ইভেন্টটি শুরু হবে এবং শেষ হবে।
পূর্ণ ম্যারাথন সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে এবং তারপরে সকাল ৭ টায় হাফ ম্যারাথন হবে। ১০ কিমি বিভাগ সকাল সারে ৮টায় শুরু হবে এবং ৫ কিমি বিভাগ সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে। সর্বশেষ, বাচ্চাদের জন্য ১ কিমি বিভাগ সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে।
তাতে যে সকল অংশগ্রহণকারীরা তাদের বিভাগগুলি শেষ করবে তারা একটি পদক পাবে এবং সমস্ত লাভ কাতারের বিভিন্ন স্থানীয় দাতব্য সংস্থায় অনুদান হিসাবে বিতরণ করা হবে।