বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জের মানবতার ফেরিওয়ালা তানভীর আহমদ আর নেই। শুক্রবার (১৩ জানুয়ার) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার বেলা ২টায় তানভীর আহমদের জানাজার নামাজ নিজ গ্রামের উত্তর রায়গড় শাহী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে তানভীর অসুস্থ্য হলে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সর্বশেষ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন যুদ্ধ হেরে পরকালে পাড়ি জমিয়েছেন তানভীর।
তানভীরের গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় গ্রামে। তানভীর আহমদ সকলের কাছে পরিচিত মানবতার এক ফেরিওয়ালা হিসাবে । মাত্র ২৫ বছর বয়সী তানভীর নিজ গ্রাম থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশে সকল মানুষের কাছে ছিল মানবতার ফেরিওয়ালা।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সময় তানভীর দেশের বাহিরে থাকলেও এলাকার ঘরবন্দি মানুষদের জন্য সেখান থেকে সবসময় খোঁজ খবর রেখেছেন। বন্ধু-বান্ধব, প্রবাসী পরিচিতজন, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
মহামারির পর দেশে আসার পরপরই সিলেটজুড়ে দেখা দেয় বন্যা। বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়া ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের মানুষের কাছে পরিচিত এক নাম ছিল তানভীর আহমদ।
বন্ধুদের নিয়ে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলাই ছিল তার প্রতিদিনের রুটিন। এই রুটিন শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন তার দু পা এক হতো না। শুধু তা ই নয়, অত্যান্ত নম্র, ভদ্র ও শান্তসৃষ্ট মানুষটা ছোট ছোট শিশুদের কাছে ছিল অত্যান্ত আপনজন। নিজ বাড়ি ও আশপাশের শিশুদের নিয়েই ছিল তার খেলাধুলা। এছাড়া আলেম-ওলামা, এলাকার মুরব্বি, অর্ধবয়সী ও যুবকদের কাছেও ছিল সমান সমাদৃত।
তানভীরের অকাল মৃত্যুতে উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।