বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে দিনভর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গতকাল বুধবার রাতে। এদিকে গতরাতের তীব্র ঠাণ্ডায় কাবু ছিল নগরের জনজীবন। রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত ছিল এমনটাই জানিয়েছে সিলেটের আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সিলেটে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বুধবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি। যে কারণে জনজীবনে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হয়েছে। রাতের তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত রয়েছে। দিনভর ছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
শৈত্যপ্রবাহ আরও তিনদিন অয়াহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, গত বছর সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১০ ডিগ্রি। এবার শীতে তাপমাত্রা নেমেছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে।
এদিকে গতরাতে সরেজমিন দেখা গেছে, তীব্র ঠাণ্ডায় রাতে নগরের ফুটপাতগুলোতে ছিন্নমূল মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনেকে নামে মাত্র উষ্ণ কাপড় ও হালকা কম্বল গায়ে জড়িয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করছেন।
আর তাপমাত্রা পারদ যত কমছে, ততই শীতের কাপড়ের প্রতি ঝুঁকছেন মানুষ। নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা ফুটপাতে এবং অলিগলের দোকানে শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করতে দেখা গেছে। তাছাড়া মার্কেট বিপণিবিতানগুলোতে শীতের কাপড়ে ছাড় দেওয়ার সুযোগও লুফে নিতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠাণ্ডাজনিত রোগে। গত কয়েকদিনে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।