বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: সাবেক প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছেন নববধূ। ভোলা সদর উপজেলা ৩ নম্বর পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ওই নববধূর শ্বশুর ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নববধূর নাম লিমা আক্তার (১৮)। ভোলা সদর উপজেলা ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়াকান্দী গ্রামের মো. লোকমান মালের মেয়ে লিমা। দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের বেচু মাঝি বাড়ির মো. ফয়েজ উদ্দিন মাঝির ছেলে মো. মিরাজের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার সাবেক প্রেমিক ফরহাদ পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কালু মাঝির ছেলে।
সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও নববধূর শ্বশুর ফয়েজ উদ্দিন জানান, ২১ দিন আগে লিমা আক্তারের সঙ্গে মিরাজের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ২২ জানুয়ারি রাতে মিরাজ ঘুমাতে গিয়ে তার ব্যবহৃত লেপের মধ্যে নোকিয়া মডেলের বাটন মোবাইল ফোন দেখতে পান। সবার অগোচরে লিমা ওই ফোন ব্যবহার করত। তার সাবেক প্রেমিক ফরহারেদ সঙ্গে ওই ফোনে তার নিয়মিত যোগাযোগ ও ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদান হত। ২২ জানুয়ারি রাতে মিরাজ লিমার ফোন পাওয়ার পর ওইদিন ভোররাতেই শ্বশুরবাড়ির সবার অগোচরে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
নববধূর শ্বশুরের দাবি, তার পুত্রবধূর সঙ্গে ফরহাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মিরাজের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়। এ বিয়েতে মেয়ের মত না থাকলেও সেটি ছেলের পরিবারকে বুঝতে দেয়নি। নববধূর মোবাইল ফোন থেকে প্রায় একশর অধিক ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে। যার বেশিরভাগ ক্ষুদে বার্তা আপত্তিকর।
নববধূর মা জানান, তার মেয়ের সঙ্গে ফরহাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল- সেটি তারা জানতেন না। মেয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পর্কেও তাদের ধারণা ছিল না। মেয়ে যে সিম ব্যবহার করতেন সেটি তার (লিমার মায়ের) হারিয়ে যাওয়া সিম বলেও জানান তিনি।
মেয়ে তার সিম চুরি করে সবার অগোচরে তা ব্যবহার করে ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলতেন দাবি তার।
ভোলা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ঘটনাটির তদন্ত করছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নববধূকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।