বিজ্ঞাপন
জি ভয়েস ডেস্ক: স্বপ্নের সোনালী ট্রফিও যেন এখন শুধুই মেসির। সে চাইলে মেসির সঙ্গে ঘুরতে পারে, নাচতে পারে, এমনকি ঘুমাতেও পারে! ট্রফি ও মেসি যেন একেঅপরের পরিপূরক হয়ে গেছে। কেউই কাউকে ছাড়া থাকছে না! তাই বিশ্বকাপ জয়ের পরের রাতটি ট্রফির সঙ্গেই কাটল মেসির, ঘুমালেন একসঙ্গে। এটাকে এভাবেও বলা যায়, মেসির সঙ্গে শান্তির ঘুমে আচ্ছন্ন বিশ্বকাপ ট্রফি!
২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর একে একে আরও বিশ্বকাপ খেলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মনে হচ্ছিল, একটা বিশ্বকাপ শিরোপার আক্ষেপ নিয়েই অবসরে যেতে হবে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে। অবশেষে কাতারে নিজের শেষ বিশ্বকাপে পরম আকাঙ্ক্ষিত শিরোপা ধরা দিয়েছে লিও মেসির হাতে। লিওনেল মেসি একজন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
-এটাই বাস্তবতা এখন। বিস্ময়বালক হিসেবে আর্জেন্টিনার রোজারিও থেকে যাত্রা শুরুর পর দীর্ঘ এক ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে 'কিংবদন্তী' মেসির হাতে ধরা দিয়েছে বিশ্বকাপের শিরোপা। ৩৬ বছর আগে ডিয়েগো ম্যরাডোনা আর্জেন্টাইনদের উপহার দিয়েছিলেন তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ম্যারাডনার মানসপুত্র মেসির হাত ধরেই কাটল খরা। লুসাইল স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
ম্যাচে জোড়া গোল করেন মেসি। শিরোপা জেতার পর মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা) আর্জেন্টিনার মাটিতে পা রাখে। বুয়েন্স এইরেস বিমানবন্দরে পা রাখার পর থেকেই অভাবনীয় বিজয় সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আর্জেন্টিনা দলকে। বিমানবন্দর থেকে খোলা ছাদের গাড়িতে করে প্যারেড করে মেসিদের নিয়ে যাওয়া হয় প্লাজা ডি লা রিপাবলিকায় মনুমেন্ট ওবেলিস্ক চত্ত্বরে।
পারলেন না মেসিরা দীর্ঘ বিশ্বকাপ মৌসুম শেষে ক্লান্ত মেসিরা দেশে ফিরে নানা উদযাপন ও অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে গেছে। তারপর একটু সুযোগ মিলতে বিছানায় গা এলিয়ে ঘুম দিলেন বিশ্বজয়ী তারকারা। মেসিও এখন ঘুমাচ্ছেন প্রশান্তির ঘুম। তবে ঘুমের মধ্যেও তিনি হাতছাড়া করতে চান না বিশ্বকাপের শিরোপা।
তাই বিছানায় তার ঘুমের সঙ্গী হলো বিশ্বকাপ ট্রফিটিই। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল এমন চিত্রই। ট্রফি নিয়ে নিজের ঘুমের ছবি শেয়ার করেছেন মেসি। ‘শুভ সকাল’ ক্যাপশনের সঙ্গে শেয়ার করা সে সব ছবির কোনোটিতে মেসি বিশ্বকাপ ট্রফি জড়িয়ে ঘুমাচ্ছেন, তো কোনোটিতে বিছানায় বসে পানপাত্রে চুমুক দিচ্ছেন তিনি। তবে তখনও হাতছাড়া করেননি সোনালী শিরোপা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসির এই ছবিগুলো ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। সে সব ছবির মন্তব্যঘর ভরে উঠছে ভক্ত-সমর্থকদের মন্তব্যে।