বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গোলাপগঞ্জ উপজেলায় মোগল আমলের ‘দেওয়ানের পুল’ ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এদিকে আজ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সেতু এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। তাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এক সপ্তাহ আগে উপজেলার বাউশা এলাকার দেওরভাগা খালে অবস্থিত প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো মোগল আমলের ‘দেওয়ানের পুল’ ভাঙার কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে মোগল আমলে নির্মিত সেতুটি ভাঙার খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষজন এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেতুটি অক্ষতভাবে রক্ষার দাবি জানায়। বর্তমানে সেতু ভাঙার কাজ বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলামের পক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নুরুল ইসলাম বলেছেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌমুনীর দুর্বিষহ যানজট নিরসনের জন্য উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হেতিমগঞ্জ হয়ে দেওয়ান সড়ক দিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণের। এ যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে তিনি প্রচেষ্টা চালিয়ে রাস্তা প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেন। এ রাস্তার মধ্যে জরাজীর্ণ তিনটি কালভার্ট ছিল। সেটা প্রকৌশল বিভাগের দেখার কথা ছিল।‘দেওয়ানের পুলের’ বিষয়টি কেউ জানাননি দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী মান্নান ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে আলাপ করেছেন। বুধবার তিনি রাস্তার নির্মাণকাজ চালাতে নির্দেশনা দিয়ে সেতু ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছেন।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে কীভাবে সেতু নির্মাণ করা যায়, এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এই সংসদ সদস্য।
যোগাযোগ করলে গোলাপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী মান্নান বলেন, সংসদ সদস্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ঐতিহ্যবাহী সেতুটি ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। এখন সেতু ভাঙার কাজ বন্ধ আছে। পরবর্তী সময়ে সবাই বসে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মৌসুমী মান্নান আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সেতু এলাকায় সরেজমিনে গিয়েছে। তাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।