বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : নিজের নামে ইস্যু করা পিস্তল দিয়ে আঘাত করে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) লাইনসের এক নায়েক সহকারী উপপরিদর্শকের (এএসআই) মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এসএমপি কমিশনারের নির্দেশে ওই দুজন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল রোববার এসএমপির উপকমিশনার (সদর ও প্রশাসন) মো. কামরুল আমীন স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
গত শনিবার সিলেট মহানগর পুলিশ লাইনসে স্ট্যান্ডবাই দায়িত্ব পালন নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির একপর্যায়ে নায়েক প্রনজিত তাঁর অস্ত্র দিয়ে এএসআই মো. রুবেল মিয়ার মাথায় আঘাত করেন। পরে আহত অবস্থায় এএসআই রুবেলকে সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়েছে—এসএমপি, সিলেটের পুলিশ লাইনসের পুলিশ লাইনসে কর্মরত এসআই মো. রুবেল মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ লাইনস স্ট্যান্ডবাই ডিউটি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই স্ট্যান্ডবাই পার্টি ফল-ইন করতে গিয়ে নায়েক প্রনজিতকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্ট্যান্ডবাই পার্টির ইনচার্জ মেজরকে জানান। মেজর জানান যে, প্রনজিতকে পোশাকে এলপি গেটের পাশে দেখেছেন। তখন স্ট্যান্ডবাই পার্টির ইনচার্জ এএসআই মো. রুবেল মিয়া নায়েক প্রনজিতকে ডাকার জন্য অপর নায়েক শরীফ মিয়াকে পাঠান। পরবর্তীতে প্রনজিত এসে ফল-ইন নিয়ে স্ট্যান্ডবাই পার্টির ইনচার্জ রুবেল মিয়ার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির একপর্যায়ে প্রনজিত তাঁর নামে ইস্যুকৃত শটগান দিয়ে এএসআই রুবেল মিয়ার মাথায় আঘাত করেন।
এ সময় তার তাঁর মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। উল্লিখিত তাদের কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড বিভাগীয় নিয়ম-শৃঙ্খলার পরিপন্থী, অপেশাদারত্ব, নৈতিক স্খলন তথা অসদাচরণের শামিল। তাই এসব কর্মকাণ্ডের কারণে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা-৩৯ (২) মোতাবেক, বাংলাদেশ সার্ভিস রুলসের বিধি ৭৩ এবং পিআরবি-৮৮০ প্রবিধান অনুযায়ী রুবেল মিয়া ও প্রনজিতকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মো. রুবেল মিয়া বলেন, ‘পুলিশ লাইনসে রেষ্টে আছি। আমাদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ সেটি মীমাংসা করে দিয়েছেন।’ একইভাবে প্রনজিতও বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দেখছেন এ জন্য আমি কিছুই বলব না।’
এ বিষয়ে এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সুদিপ দাস আজকের পত্রিকাকে জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দুজনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ লাইনসে শৃঙ্খলার ব্যাপারে এসএমপির নীতি সব সময় জিরো টলারেন্স।
সূত্র : আজকের পত্রিকা