বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : লক্ষ্মীপুরে ইশারা-ইঙ্গিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৭) চার মাস ধরে ধর্ষণের অভিযাগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাহবুব আলম শিপুল নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জেলা শহরের পুরাতন ডায়াবেটিস হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শিপুল কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি। তিনি কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকার মো. বাচ্চুর ছেলে।
এর আগে বিকালে কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, মেয়েটি ছোট থাকতেই তার বাবা মারা যান। তার মাও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। এতে চাচা-চাচির কাছে সে বড় হয়। কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না। কিন্তু শিপুল তাকে রাস্তাঘাটে দেখলে ইশারায় প্রেমের প্রস্তাব ও খারাপ ইঙ্গিত করত। এতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় তাকে শিপুল উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
একপর্যায়ে ইশারা-ইঙ্গিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিপুল তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। চার মাস ধরে সে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। কিশোরীর চাচা-চাচি চাকরিজীবী হওয়ায় দিনে তারা বাড়িতে থাকেন না। দিনের বেলায় শিপুলের যাতায়াত ছিল। এ জন্য বিষয়টি তারা বুঝতে পারেননি।
সোমবার সকালে কিশোরীর চাচা-চাচি অফিসের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর পরই শিপুল ঘরে ঢোকে। একপর্যায়ে জোরপূর্বক কিশোরীর সঙ্গে অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যেই জরুরি কাজে তার চাচি ফের বাসায় আসেন। তখন ঘটনাটি দেখে চিৎকার দিলে শিপুল পালিয়ে যায়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি বলেন, ঘটনাটি লোকজন আমাকে জানিয়েছে। কমলনগরে খোঁজ নিচ্ছি, এ নামে আর অন্য কোনো নেতা আছে কিনা।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মোসলেহ উদ্দিন জানায়, বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ইশারায় স্বর্ণালঙ্কার দেওয়া ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করত শিপুল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্র : যুগান্তর