বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জে এক বৃদ্ধা মাকে ঘরের বাইরে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা অভিযুক্ত ছেলে জিলাল আহমদকে প্রতি মাসে বৃদ্ধা মায়ের ভরণপোষণ ও চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে উপস্থিত সকলের কাছে অভিযুক্ত জিলাল আহমদ ক্ষমা চেয়েছেন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ।
তিনি বলেন, এবিষয়ে অভিযুক্ত জিলাল আহমদের বড় ভাইয়ের সাথে চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। তিনি প্রবাসে থাকেন। প্রতি মাসে বৃদ্ধা মহিলার ভরণপোষণ ও চিকিৎসা বাবত যা খরচ আসবে তাদেরকে বহন করতে হবে। বৃদ্ধার দেখাশোনা করার জন্য দু'জন মানুষ রাখতে হবে। যাতে বৃদ্ধা মহিলার কোন অসুবিধা না হয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-ইউপি সদস্যদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক খুঁজ খবর রাখা হবে। সেই সাথে অভিযুক্ত জিলাল আহমদ ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করবে না বলে সবার কাছে মাফ চেয়েছেন।
উল্লেখ, গতকাল মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে জিলাল আহমদের বিরুদ্ধে ঘরের বাইরে মায়ের পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এঘটনায় অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে তৎক্ষনাৎ আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয়রা বসেন। বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত আসে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বৃদ্ধাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক যুবক সেই ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি ভিডিও’র ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, শীতের মধ্যে ছেলে তার বৃদ্ধা মাকে ঘরের বাইরে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনা জানতে পেরে আমাদের পরিবার ও এলাকার স্থানীয় কিছু লোক ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করতে তাদের বাড়িতে যান। তখন ওই ছেলে আমাদের সবাইকে ডাকাত বলে। সেই সাথে পুলিশকে খবর দেবে বলে জানায়। পরবর্তীতে এলাকার মানুষের চাপে সে তার মায়ের পায়ে বাঁধা শিকলের তালা খুলে দিতে বাধ্য হয়।