বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ‘বেঁচে থেকেও মৃত মোমিনা বেগম!’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে গত ১৭ ডিসেম্বর ‘জীবিত হলেন’ জৈন্তাপুর উপজেলার মোমিনা বেগম।
মুমিনা বেগম জানান, ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পান। তারপর হতে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কাজ করে আসছেন। ২০১৯ সনের মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন- তিনি ‘মারা গেছেন’। নির্বাচন কমিশন জৈন্তাপুর হতে জাতীয় সার্ভার থেকে মৃত ঘোষণা করে তথ্য আপডেট করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হাসানাত। যার প্রেক্ষিতে মুমিনা বেগম জীবিত থাকার পরও ‘মৃত হিসেবে’ এতদিন বেঁচেছিলেন।
মুমিনা বেগম নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দ্বারস্ত হন। কিন্তু নির্বাচন কর্মকর্তার গাফিলতিতে ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন মরহুম পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মোমিনা বেগম। সংবাদ প্রকাশের পরেও এই কর্মকর্তা মুমিনা বেগমকে ডেকে নিয়ে ফাইল হাতে ধরিয়ে দিয়ে ঢাকায় গিয়ে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করে আসতে পরামর্শ দেন।
অবশেষে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হাসানাত বদলী হলে ফের মুমিনা বেগম দ্বারস্থ হন নবাগত উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট। নবাগত কর্মকর্তা যাবতীয় কাগজপত্র দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গত ১৭ ডিসেম্বর সরকারি কাগজপত্রে জীবিত হিসেবে মুমিনা বেগমের পরিচয় সংশোধন করেন। তার এনআইডি নাম্বর ৯১১৫৩৫২২৩৪২৬০ এর পরিবর্তে স্মার্ট এনআইডি নাম্বার হয় ২৩৫০৫৭৬৬০৫।
এ বিষয়ে মোমিনা বেগমের ভাগনা জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. হানিফ বলেন, তৎকালীন নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হাসানাতের গাফিলতির কারণে সমস্যাটি হয়েছিল। তাকে হয়রানি করা হয়েছিলো। বর্তমান কর্মকর্তার দায়িত্বশীলতায় আমার মামি আবার জীবিত হয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইকরামুল হাসান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে। একজন নাগরিকের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।