বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিনিধি : কানাইঘাটে এক সন্তানের জননীর গলা কাঁটা লাশ পিত্রালয় থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালের দিকে উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের মালিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মালিগ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে রাশিদা বেগম (২২) প্রায় দেড় বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের পর্বতপুর গ্রামের মুজম্মিল আলীর পুত্র হাবিব আহমদের সাথে বিয়ে হয়। প্রায় ৩ মাস পূর্বে রাশিদা বেগমের সিজারে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকে রাশিদা বেগম মাথা ব্যথা সহ মানসিক ও শারীরিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেড় মাস থেকে রাশিদা বেগম পিত্রালয়ে চলে আসে। অনেক চিকিৎসা করার পরও আমৃত্যু সে সুস্থ হয়নি। এমনকি তার নবজাতক তিন মাসের শিশু সন্তানকেও দুধ পান করাতেন না। সপ্তাহদিন থেকে রাশিদা বেগম খাওয়া-দাওয়া একপ্রকার ছেড়ে দেয় বলে তার মা সহ পরিবারের লোকজন জানান।
তারা বলেন- বুধবার সকালে রাশিদা বেগম ঘুম থেকে উঠলে তাকে চা- খেতে দেয়া হয়। কিন্তু রাশিদা সেই চা না খেয়ে ফেলে দেয়। সকাল অনুমান ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন রাশিদা বেগমের গলা কাঁটা লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন।
সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম, থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখতে পান রাশিদা বেগমের গলা কাঁটা রক্তাক্ত লাশ মাটিতে পড়ে রয়েছে এবং ডান হাতের পাশে রক্তমাখা ধারালো বটি দা রয়েছে।
ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করার পর দুপুর ১২টার দিকে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শেখ সেলিম, সিআইডি ও পিবিআই শাখার তদন্ত দল ঘটনাস্থলে এসে লাশের আলামত সংগ্রহ করেন।
সুরতহাল রিপোর্টের ময়না তদন্তের রাশিদার লাশ সিলেট মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান। তবে প্রাথমিক তদন্তে রাশিদা বেগম গলা কেটে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারনা করছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর এটি আত্মহত্যা না হত্যা তা জানা যাবে।
এ ঘটনায় নিহত রাশিদা বেগমের ভাই আব্দুল মালিক বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।