বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট আদালতপাড়া এবং দুটি কারাগারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কারারক্ষীদের দায়িত্বের ক্ষেত্রেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের পর সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।
তাঁরা জানান, কারাবন্দিরা যেন কোনো গোপন বৈঠক, শলাপরামর্শ করতে না পারে সে জন্যও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা জঙ্গিসহ ফাঁসির আসামিদের শিকল (ডান্ডাবেড়ি) পরিয়ে রাখা হচ্ছে।
এর আগে রোববার ঢাকার সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব ও মাইনুল হাসান শামীম ওরফে ইমরানকে জঙ্গিরা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিশেষ করে কারাগারগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ঢাকার ঘটনার পর জঙ্গিদের হাজির করার ক্ষেত্রে যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। তিনি জানান, সিলেটে নতুন ও পুরোনো দুটি কারাগার রয়েছে। এসব কারাগারে বর্তমানে ২ হাজার ৬৫০ বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে জঙ্গিসহ ৯১ ফাঁসির আসামিকে রাখা হয়েছে বাদাঘাট কারাগারের কনডেম সেলে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এ আছে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ বন্দি। এসব বন্দির নিরাপত্তা ও কারাগারের রক্ষণাবেক্ষণে রয়েছেন ৪৭ কর্মচারী।
মঞ্জুর হোসেন আরও জানান, স্পর্শকাতর মামলার আসামিদের বহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। খাবার সরবরাহসহ সব বিষয়ে তল্লাশি কার্যক্রম কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। কারারক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
সিলেট আদালতপাড়ায়ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মহানগর পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আদালত এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সব আদালতে আগের চেয়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র : সমকাল