বিজ্ঞাপন
ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশকে সামনে রেখে বেশ চাঙা হয়ে উঠেছেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গণসমাবেশ সফল করতে দিন-রাত চলছে মাইকিং। পাশাপাশি চলছে প্রচারপত্র বিতরণ, মিছিল ও সভা।
অপরদিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে দক্ষিণ সুরমার পরাইরচকে ইজতেমার আয়োজন করায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তারা সব বিষয়ে সতর্ক।
এবার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙা ভাব পরিলক্ষিত হলেও আগের বিভাগীয় সমাবেশগুলো তেমন ‘সুখকর’ না হওয়ায় আতঙ্ক আছে তাদের মধ্যে। অনেকে গ্রেপ্তারের ভয়ে রাতে বাসায় থাকছেন না বলে জানা গেছে।
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির ১৪ জন নেতাকর্মীকে। সমাবেশের আগে আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, হবিগঞ্জে এরই মধ্যে বিএনপি, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৌলভীবাজারে ছাত্রদল সভাপতি রুবেল আহমদসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিলেটেও একাধিক বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা জানান, গত কয়েক দিনে পুলিশ তাদের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তল্লাশি করেছে বেশ কয়েকজন নেতার বাড়িতে। অবশ্য পুলিশ বলছে গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন মামলার আসামি।
তবে সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদের দাবি, সিলেটে বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে পুলিশ কোনো ধরনের বাধা দিচ্ছে না বা কাউকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করছে না। যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।
এদিকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে থাকলেও ১৯ তারিখের গণসমাবেশ সফলের ব্যাপারে আশাবাদী দলের নেতাকর্মীরা। তারা জানান, নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বিভাগে গণসমাবেশ সফল হয়েছে। সিলেটে গণসমাবেশের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই প্রতিদিন নেতাকর্মীরা সভা ও প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। নগর থেকে গ্রাম- সবখানেই চলছে প্রচার-প্রচারণা। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা দফায় দফায় বৈঠক, সভা-সমাবেশ করেছেন। জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ছুটে যাচ্ছেন নেতারা।
জেলা, উপজেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীর থাকার জন্য সিলেট নগরীর বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার বুকিং করা হয়েছে। সমাবেশস্থলের কাছে বিএনপির এক নেতার হোটেল থেকে মঞ্চের কাজ তদারকি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আশা করছি অন্যান্য জায়গার মতো সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না। কারণ সিলেটে রাজনৈতিক সম্প্রীতি এখনও বজায় আছে।
গণসমাবেশ নিয়ে সিলেটের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কোনো শর্ত বা বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।