বিজ্ঞাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক : গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের দেওয়ানের পুল সংলগ্ন বসন্ডার খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে স্থানীয় একাধিক গ্রামের কয়েক শতাধিক কৃষকের আমন ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে নিরীহ কৃষকদের আহাজারীতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।
স্থানীয় কৃষকরা এনিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে বার বার ধরণা দিলেও কোন সুরাহা মিলছেনা। উল্টো উপজেলা কৃষি অফিস বলছে- প্রতিবছরই এধরনের অভিযোগ তারা পেয়ে থাকেন। তারা একাধিক বার বাঁধও কেটেছেন। তারা আসার পর পরই প্রতিপক্ষরা পুনঃবাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করতে থাকে।
জানা যায়, সাম্প্রতিক পর পর তিনবারের ভয়াবহ বন্যায় কৃষি ক্ষেত্র সহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবং বর্তমান বৈশ্বিক দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিকে কাঠিয়ে উঠতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। তাছাড়া সরকার যেখানে কৃষি খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সেখানে স্থানীয় কতিপয় মাছ শিকারী বসন্ডার খালে বাঁধ দিয়ে ক্ষণিক চাহিদা পূরণ মোটেই সমিচীন নয়। একদিকে ফসলের যেমন ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের প্রতিবন্দ্বকতা আগামী দিনের জন্য আরও ভয়াবহ করে তুলছে। উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘোষগাঁও, বাউসী, জামিটিকি গ্রামের আলাই মিয়া, রামাকান্ত দাশ, সমিরণ দাশ জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই ক্ষেতের জমি পানিতে তলিয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে অতি ঘন বৃষ্টিতে পর পর তিনবার জমিতে ধান লাগিয়েছি। কিন্তু এলাকার কিছু মাছ শিকারী অধৈভাবে বসন্ডার খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেয়ার ফলে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলেও সুফল পাচ্ছিনা। অন্যদিকে আমনের মৌসুমও চলে যাচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ মৌসুমী মান্নানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বসন্ডার খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের ফলে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, এখবর পাওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় ভূমি অফিসের তপশিলদার’র মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভূতক্তভোগিরা বলছেন, বাঁধগুলো আগের মতই রয়েছে, কোন কাটা হয়নি।